
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান
১৭ জুলাই ২০২৩, ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ
রাজ প্রতাপ দাস। ছবিঃ সংগৃহীত সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় স্কুলের শিক্ষকদের নির্যাতনে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। |
![]() |
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলায় স্কুলের শিক্ষকদের হাতে নির্যাতিত হয়ে নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী নিহত।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, নলতা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক নির্যাতনে ভরশিমুলিয়া চন্ডিপুর এলাকার দীনবন্ধু দাসের ছেলে রাজ প্রতাপ দাস মারা গেছে।
জুবায়ের নামের এক ছাত্র জানায়, তার এবং অন্য একজন ছাত্রের জন্মদিন ছিল, এবং তারা সবাই মিলে ক্লাসরুমে কেক কাটছিল। রাজ এবং আরও কয়েকজন সকাল ১০টার দিকে নিয়ে এসেছিল কেক। হঠাৎ করেই সহকারী প্রধান শিক্ষক এম এ মুহিত, সহকারী শিক্ষক আবকাশ চন্দ্র খা, মনিরুল ইসলাম ও সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী এবং আরও কয়েকজন শিক্ষক এসে তাদের মারধর শুরু করেন।
জুবায়ের আরো জানায়, এক শিক্ষক রাজকে বুকে লাথি মারেন। জুবায়ের, রাজসহ চারজনকে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে নিয়ে গিয়ে আবারও লাঞ্ছিত করা হয়। রাজ ও জুবায়ের তখন মেঝেতে পড়ে যায় এবং একপর্যায়ে তারা প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোনায়েমের পা ছুঁয়ে ক্ষমা চায়। তারপর প্রধান শিক্ষকের কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে রাজ জুবায়েরকে জানায় সে অসুস্থ বোধ করছে। তারও ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর রাজ মারা গেছে বলে জানায় জুবায়ের।
রাজের খালা তাপসী রানী দাস জানান, তার ভাগ্নে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছিল।
সহকারী শিক্ষক আবকাশ জানান, স্কুলে জন্মদিন উদযাপন করায় তিনি রাজকে দুবার চড় মেরেছিলেন এবং অন্য শিক্ষকরা রাজসহ অন্যদের মারধর করেন।
প্রধান শিক্ষক মোনায়েম বলেন, শিক্ষার্থীদের বকাবকি করা হয়েছে, মারধর করা হয়নি। কয়েক ঘণ্টা পর তিনি রাজের মৃত্যুর খবর শুনেছেন। লজ্জায় আত্মহত্যা করে রাজ মারা গেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এরপর শত শত এলাকাবাসী রাজের মরদেহ নিয়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভ করে এবং প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ভাংচুর করে।
![]() |
![]() |