শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

ছেলেদের আগেই বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার নারীরা


১৩ জানুয়ারী ২০২৪, ৪:৪৬ অপরাহ্ণ 

ছেলেদের আগেই বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাস গড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার নারীরা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ডটা কাদের? উত্তরটা সহজ, অস্ট্রেলিয়ার। তবে সেটা যদি ভারতের মাটিতে ২০২৩ বিশ্বকাপ জেতা দলটাকে মনে করে থাকেন, তাহলে ভুল করছেন আপনি। হ্যাঁ, ক্রিকেটের ইতিহাসটা যদি শুধু পুরুষদের হয়, তাহলে উত্তর ঠিক। কিন্তু ইতিহাসে যদি পুরুষ-নারী উভয় দলকে ঠাঁই দেয়া হয়, তাহলে সেখানে সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।

গত বছরের নভেম্বরে ষষ্ঠ ওয়ানডে ট্রফি জিতে প্যাট কামিন্সরা নারী দলের সঙ্গে ব্যবধানটা কেবল কমিয়েছেন। অ্যালিসা হিলি, মেগ ল্যানিংরা ২০২২ সালেই দেশকে সপ্তম ওয়ানডে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। তবে অজি নারীদের ইতিহাসটা কেবল সর্বোচ্চ শিরোপা জয়েরই নয়, তারাই প্রথম দেশকে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন। তা-ও ১৯৭৮ সালের আজকের (১৩ জানুয়ারি) এই দিনে।

সেটাও পুরুষদের প্রথম বিশ্বজয়ের প্রায় এক দশক আগে। অস্ট্রেলিয়ার ছেলেরা প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছিল ১৯৮৭ সালে।

অজি নারীরা ইতিহাস গড়েছিল প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে। যদিও রাউন্ড রবিন লিগের এ টুর্নামেন্টে ছিল না কোনো সেমিফাইনাল বা ফাইনাল। গ্রুপ পর্বের ম্যাচ শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দলের হাতেই উঠত চ্যাম্পিয়ন শিরোপা। কিন্তু অবস্থা এমন ছিল যে টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের মধ্যে যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। তাই ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অঘোষিত ফাইনালে।

ম্যাচটিতে অজি বোলারদের তোপে পাত্তাই পায়নি ইংলিশ নারীরা। অষ্টম ব্যাটার শার্লি হজ ও দশম ব্যাটার গ্লিনিস হুল্লার কল্যাণে প্রথমে ব্যাট করে যদিও ইংলিশরা পুরো ৫০ ওভার খেলেছিল। কিন্তু ৮ উইকেটের বিনিময়ে তারা ৯৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি। হজ ২৬ আর হুল্লা ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। অজিদের হয়ে একাই ৪ উইকেট নেন শারন ট্রেডরিয়া।

এরপর জবাব দিতে নেমে মাত্র ৬ রানেই ২ উইকেট হারালেও জেনিংস মারগারেট ও জ্যানেতি ট্রেডরিয়া মিলে ৩১.৩ ওভারের মধ্যে দলকে জয় এনে দেন। জেনিংস ৫৭ আর ট্রেডরিয়া ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে ইতিহাসের অংশ হন।

তবে অস্ট্রেলিয়ার নারীদের ইতিহাসই গড়া হতো না যদি ভারত আয়োজক হওয়ার শর্তে টুর্নামেন্টে অংশ না নিত। আর্থিক সংকটের কারণে আসর থেকে নিজেদের নাম তুলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নেদারল্যান্ডস। শেষমেশ ভারতসহ চার দল নিয়ে হয়েছিল এ বিশ্ব আসর। বাকি দলটি ছিল নিউজিল্যান্ড। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে চার দলের এ লড়াইয়ে আয়োজক ভারত নিজেদের তিন ম্যাচের সব কটিই হেরেছিল। নিউজিল্যান্ড এক ম্যাচে জয় পেয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া সব কটি আর ইংল্যান্ড দুটি।