৭৪ বছরে পা রাখলো মোংলা বন্দর
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
১২ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:৫০ অপরাহ্ণ
রাজবাড়ী বাসী পূর্ণমন্ত্রীর স্বাদ পেল | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
পদ্মা নদীর ভাঙন কবলিত ও অবহেলিত পদ্মা কন্যা রাজবাড়ী জেলা। পাঁচটি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলা চারটি উপজেলা পদ্মা নদীর পারে অবস্থিত। নদীর ভাঙন কবলিত রাজবাড়ী জেলাবাসী দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে পূর্ণমন্ত্রী বঞ্চিত ছিল। অবশেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে রাজবাড়ী বাসী পূর্ণমন্ত্রীর স্বাদ পেল। জানা যায়, স্বাধীন বাংলাদেশে গোয়ালন্দ মহকুমা কোন মন্ত্রী- প্রতিমন্ত্রী পায়নি। ১৯৮৪ সালের ১মার্চ গোয়ালন্দ মহকুমা রাজবাড়ী জেলা নামে রুপান্তরিত হওয়ার পরও পূর্ণমন্ত্রী পায়নি।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়। এর পর পূর্ণমন্ত্রী হওয়ার জন্য মন্ত্রী পরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন (পাংশা-কালুখালী- বালিয়াকান্দি) উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-০২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিমকে ফোনের মাধ্যমে নিশ্চিত করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম রেল মন্ত্রী হওয়ার মধ্যে দিয়ে রাজবাড়ী জেলাবাসী দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রথম পূর্ণমন্ত্রীর স্বাদ পেল।এর পূর্বে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ পর্যন্ত অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী এবং দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শেষের দিকে ২০১৮ সালে ২ জানুয়ারি শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন রাজবাড়ী-০১ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব কাজী কেরামত আলী। তবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজবাড়ীর জেলা দুইটি আসনে কোন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ছিলেন না।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম রেল মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ায় রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলার সর্বসাধারণ এবং সর্ব মহল উৎসব-আনন্দ করছে। মিষ্টি বিতরন করছে একে অপরের মাঝে। মো. জিল্লুল হাকিম ১৯৯৬ সালে (পাংশা-বালিয়াকান্দি) উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজবাড়ী-০২ আসনে প্রথম সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। ২০০১ সালে বিএনপি’র মো.নাসিরুল হক সাবু’র কাছে পরাজিত হয়। এর পর ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪,২০১৮ এবং ২০২৪ সালে টানা চতুর্থবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বঅচিত হয়। উল্লেখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার আনন্দবাজার গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবুল হোসেন নিজে একজন সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী ছিলেন। মো. জিল্লুল হাকিমের পৈতৃক বাড়ি পাংশা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর (এমএ) পাস করেছেন।১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মো. জিল্লুল হাকিম মুক্তিযুদ্ধকালীন গোয়ালন্দ মহকুমা কমান্ডার ছিলেন। তিনি সংসদ সদস্যের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সাঈদা হাকিম ও দুই ছেলে মিতুল হাকিম এবং রাতুল হাকিমও সফল ব্যবসায়ী।