উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
১১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:১৮ অপরাহ্ণ
বাগেরহাটের মোংলায় ‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে বক্তব্য দেওয়া সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারাদারকে অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে মোংলা পৌরসভার সামনে শেখ আঃ হাই সড়কে মোংলা উপজেলা নারী সমাজের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন থেকে আসা সহস্রাধিক নারী অংশগ্রহন করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, মোংলা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী কামরুন নাহার হাই, পৌর কাউন্সিলর জাহানারা চানু, শিউলি বেগম, জোহরা বেগম, সোনাইলতলা ইউপি চেয়ারম্যান নাজরিনা বেগম, মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী রাহিলা খানম বেবি, রোজনীন অন্তরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এদেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, স্পিকার নারী, রয়েছে নারী সংসদ সদস্যও। সরকারী সামরিক-বেসামরিক বাহিনীসহ দেশের নানা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদেও রয়েছেন নারীরা। বর্তমান সরকার সর্বক্ষেত্রে নারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে অধিকার সংরক্ষণ ও প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ইকরাম ইজারদার রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী বক্তব্য দিয়ে দেশের পুরো নারী সমাজকে অপমান ও অসন্মান করেছেন। তাই রাষ্ট্রের সংবিধান লঙ্ঘন করায় ইকরাম ইজারদারকে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবী জানান তারা।
ইকরাম চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও তাকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত এ আন্দোলন-কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নারী নেতৃবৃন্দরা।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদারের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী পথসভায় নারী নেতৃত্ব হারামসহ নানা উস্কানিমূলক কথা বলে আলোচনায় আসেন এই চেয়ারম্যান। ওই সভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।’