খুকৃবিতে ভেটেরিনারি অনুষদের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষা সফর
রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১০ জানুয়ারী ২০২৪, ৪:২৯ অপরাহ্ণ
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে নির্বাচনের রেশ কাটতে না কাটতেই মন্ত্রী সভায় চট্টগ্রামের কে কে স্থান পাচ্ছেন সেটি নিয়েই আলোচনা এখন সর্বত্র। বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ৪৫ জন।
আগামীকাল শপথ নিতে যাচ্ছেন মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা। প্রায় সব সরকারের আমলেই মন্ত্রিসভায় বাড়তি গুরুত্ব পায় চট্টগ্রাম। বর্তমানে তিন জন পূর্নমন্ত্রী, একজন উপমন্ত্রী ছাড়াও, দুজন সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এবং একজন হুইপ আছেন চট্টগ্রাম থেকে।
মন্ত্রিসভার বাইরে প্রতিমন্ত্রী পদমর্যাদায় বর্তমান সংসদে হুইপের দায়িত্বে ছিলেন শামসুল হক চৌধুরী। এবার তিনি পরাজিত হয়েছেন ফলে অন্য কাউকে এই পদে দেখা যেতে পারে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ আবারও একই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন। তিনি আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন। তাই তিনি অনায়াসে মন্ত্রিপরিষদে থাকছেন বলেই ধরে নেয়া যায়।
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান বাবুর সন্তান সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও এবার মন্ত্রী হতে পারেন। তিনি তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, একবার ভূমি প্রতিমন্ত্রী ও গতবার এই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা উদ্যোগ নিয়ে সুনাম করিয়েছেন তিনি। তাই অনেকে বলছেন মন্ত্রী পরিষদে এবার তিনি থাকবেন সেটি এখন সময়ের ব্যাপার।
আলোচনায় আছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইন্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের ছেলে মিরসরাই আসন থেকে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত সংসদ সদস্য মাহবুবুর রহমান রুহেল। মন্ত্রী পরিষদের তরুণ ও প্রবীণদের সমন্বয় হলে রুহেলের সম্ভাবনাও রয়েছে।
এছাড়া চট্টগ্রাম ৯ আসন থেকে পরপর দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবার পদোন্নতি পেয়ে প্রতিমন্ত্রী হতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
চট্টগ্রাম ১১ (বন্দর ইপিজেড পতেঙ্গা) আসনে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টানা তিনবার জয়লাভ করেন এই আসনের সংসদ সদস্য এম এ লতিফ। তাকেও মন্ত্রী করা হতে পারে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।
এবার চট্টগ্রাম ১০ থেকে নির্বাচিত মহিউদ্দিন বাচ্চুও রয়েছেন আলোচনায়। এ আসন থেকে নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ডা. আফসারুল আমিনও মন্ত্রী ছিলেন। বিএনপি'র আমলে এই আসন থেকে নির্বাচিত আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। তাই এবার এই আসন থেকে এবার মহিউদ্দিন বাচ্চুও গুরুত্ব পেতে পারেন বলে জানা গেছে।
তাছাড়া রাউজান থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীও এবার মন্ত্রী হবার আলোচনায় রয়েছেন।
তবে টেকনোক্র্যাট কোটায় মূল্যায়ন করা হতে পারে পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে আসা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম কে।