
খুকৃবি গ্রেটার ময়মনসিংহ এসোসিয়েশনের দায়িত্বে সহকারী অধ্যাপক শরিফুল ও শিক্ষার্থী শাহীন
১০ জানুয়ারী ২০২৪, ১:১১ অপরাহ্ণ
ভারতের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকা ক্রিকেটাররাও মালদ্বীপকে বয়কট করে বিভিন্ন প্রচারণা চালাচ্ছেন। দেশটির বিরুদ্ধে বয়কট আন্দোলন হিসেবে ইতোমধ্যে শচীন টেন্ডুলকার, সুরেশ রায়না, মোহাম্মদ শামি, হার্দিক পান্ডিয়াসহ আরও অনেকে কথা বলেছেন। কিন্তু হুট করে কেন তারা এমন বয়কটের ডাক দিলেন? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটির ইউনিয়ন টেরিটরি লাক্ষাদ্বীপ সফরের কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে বলেছিলেন, মালদ্বীপে ভ্রমণের বদলে ভারতীয়দের উচিত এই দ্বীপে ভ্রমণ করা। এটি মালদ্বীপ থেকে বেশি দূরে নয়। প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রস্তাবের পরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী ও কয়েকজন নেতা। তারা মোদির বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভাঁড়’ এবং ‘সন্ত্রাসী’ বলেও আখ্যা দেন তারা।
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভারতীয়রা। অনেকেই মালদ্বীপের বিরুদ্ধে (#Boycott Maldives) বয়কট আন্দোলন গড়ে তোলেন। সেই তালিকায় যোগ দেন ক্রিকেটাররাও। এ দিকে চাপের মুখে মোদির বিরুদ্ধে করা ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে নেন মালদ্বীপের মন্ত্রীরা। এরপরে তিন মন্ত্রীকে বরখাস্তও করেন মালদ্বীপের চীনপন্থী মোহামেদ মুইজ্জুর সরকার। কিন্তু তারপরও ভারতীয়দের বয়কট আন্দোলনে ভাটা পড়েনি।
নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনারকে তলবও করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেট তারকারা নিজেদের দেশের সমুদ্রসৈকত ভ্রমণ করতে ভারতীয়দের অনুরোধ করেন। কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার লিখেছেন, ‘ভারতের উপকূলীয় শহরে আমরা যা চাই, সবই আছে। এমনকি এর চেয়েও বেশিকিছু আছে ভারতে। সেসব স্থানের সঙ্গে মানুষের আতিথেয়তা আমাদের ভালো মুহূর্ত এনে দেয়। স্মৃতিতে সেই অভিজ্ঞতা অমলিন হয়ে থাকে।’
ভারতের সহ-অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া বলেছেন, ‘ভারতকে নিয়ে যা বলা হয়েছে, তা দেখে খুবই দুঃখ পেয়েছি। পরের ছুটিতে ভারতেই কোনো সমুদ্রসৈকতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
মোহাম্মদ শামি গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমাদের পর্যটনকে সবার আগে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। দেশের জন্য সেটিই ভালো। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। আমাদের উচিত তার পাশে থাকা।’
সাবেক ক্রিকেটার সুরেশ রায়না লিখেছেন, ‘মালদ্বীপ ভালো জায়গা। সেখানকার সৌন্দর্য ভালো লাগে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রতি লক্ষ্য করে এখন আত্মসম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই।’