রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যেভাবে কাজ করতে চান প্রধানমন্ত্রী


৯ জানুয়ারী ২০২৪, ১২:৫৮ অপরাহ্ণ 

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যেভাবে কাজ করতে চান প্রধানমন্ত্রী
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পরদিন গতকাল সোমবার তিনি তাঁর আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেছেন, ‘এখন আমরা তিন ধাপে কাজ এগিয়ে নিতে চেষ্টা করব।’

এখন তিন ধাপে কাজ এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্য

শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম ধাপ হলো এখনই কী কাজ করতে হবে তা ঠিক করা। এরপর আর দুই ধাপে মধ্য এবং দীর্ঘ মেয়াদে কোন কোন কাজ করা হবে তা নির্ধারণ করা।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমরা কাজ করব। নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ ঠিক করেছি। এগুলো হলো-স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক, যাঁরা নির্বাচনে তথ্য সংগ্রহ করেছেন, গতকাল সোমবার বিকেলে গণভবনের খোলা মাঠে তাঁদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজগুলো তিন ভাগ করে করার চেষ্টা করব। আমাদের অগ্রযাত্রা যাতে ঠিক থাকে সেই লক্ষ্যে কাজ করব। এ দেশের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে এবং নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি। তবে এ বিজয় আমার নয়, এ বিজয় জনগণের।’
তিনি মনে করেন, ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রাপ্তিতে সহায়তা করার মাধ্যমে দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে সহযোগিতা করেছে।

দেশে ফিরে বাংলাদেশের কথা বলবেন

বিদেশি অতিথিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা এসেছেন আমরা আনন্দিত।’

এ জন্য দেশের মানুষ, নিজের পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনটা যে অবাধ, সুষ্ঠু হতে পারে সেই দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে পেরেছি। আপনাদের আগমন আমাদের দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, মানুষের অধিকারটা আরো সুরক্ষিত হয়েছে। আপনারা যার যার দেশে ফিরে যাবেন, বাংলাদেশের কথা বলবেন। আপনাদের আগমন আমাদের গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থাকে আরো মজবুত ও শক্তিশালী করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে রাজনীতির হাল ধরার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় নিশ্চিত করা। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের কর্মকাণ্ড এগিয়ে যাবে। আমাদের তরুণ সমাজকে ডিজিটাল ডিভাইসে আরো বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলা, কারিগরি-ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ দেওয়া আমাদের লক্ষ্য। ইন্ডাস্ট্রি ফোর্থ রেভল্যুশনের জন্য প্রস্তুত করব আমরা। সেভাবে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে তৈরি করব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল (এসডিজি) ২০৩০ পর্যন্ত দিয়েছে। আমরা ২০৩২ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেছি। সে ঘোষণাও আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেগুলো আমাদের দেশের জন্য কার্যকর সেটা করব। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১। বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেখানে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না। দারিদ্র্যের হার আমরা কমাব। প্রত্যেক মানুষের জন্য জব অপরচুনিটি সৃষ্টি করব। প্রত্যেকের মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বাসস্থান ও শিক্ষা যা যা আমরা করছি সেগুলোকে আরো সাসটেইনেবল করব।’

আমরাই জয়লাভ করেছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা এখন আশাবাদী, সরকার গঠন করব। সরকার গঠন করে আমাদের কাজ হচ্ছে, বাংলাদেশ এরই মধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। ২০২৬ সাল থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু। সেই কাজটা আমাদের করতে হবে। সেখানে যেমন কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আবার কিছু সুযোগ-সুবিধাও আমরা পাব।’

তিনি বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কী, কিভাবে আগাব, কিভাবে কাজ করব এরই মধ্যে আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েছি। সরকারে থাকতে আমরা কমিটি, সাব-কমিটি করে দিয়েছি, কাজ করছি। সে কাজগুলো সম্পন্ন করব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এখানে যারা ভূমিহীন, ঘরহীন, আমরা তাদের বিনা পয়সায় ঘর করে দিচ্ছি। সামান্য কিছু বাকি আছে আমাদের সেটা সম্পন্ন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ ঘর পাবে এবং সুন্দরভাবে বাঁচবে। বিদ্যুৎ সারা দেশে দিতে পেরেছি, সেটাকেও আমাদের টেকসই করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি, খাদ্য সংরক্ষণ সে ব্যবস্থা করে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষপণ করেছি, ২ করতে হবে। কমিউনিকেশনের জন্য আরো উন্নতমানের স্যাটেলাইট আমরা উৎক্ষপণ করব। সেই পরিকল্পনা আমাদের আছে। তা ছাড়া যোগাযোগব্যবস্থার যে উন্নয়ন আমরা করছি সেটা গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত আমরা নিয়ে গেছি। আরো কিছু জায়গা বাকি আছে সেগুলো আমরা করব।’

হতদরিদ্রের হার শূন্যে নামিয়ে আনা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের হার ছিল ৪১.১৬ শতাংশ, সেটাকে কমিয়ে ১৮.৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এই দারিদ্র্যের হার কমানো। সেটা আমরা পারব বলে বিশ্বাস আছে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, এক্সট্রিম প্রপার্টি, যা হতদরিদ্র সেটা ছিল ২৫.১ শতাংশ, সেটা ৫.৬ শতাংশে নামিয়েছি। এখন আমার লক্ষ্য দেশের একটি মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না। অন্তত সবার জীবন একটু হলেও ভালো হবে। সেভাবে আমাদের কিছু কাজ বাকি আছে। সেটা আমরা করতে পারব।’

তিনি বলেন, ‘বন্ধুপ্রতিম দেশ থেকে সব সময় আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাছি। পররাষ্ট্রনীতি আমাদের খুব স্পষ্ট। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়। কারণ আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই। কারো সাথে আমাদের ঝগড়া করার নেই। কারণ আমাদের দেশের উন্নয়ন করতে হবে। উন্নয়নে যারা আমাদের সহযোগিতা করবেন, সেটা আমরা হিসাব করেই নিব এবং আমাদের দেশকে উন্নত করব।’

ভোট নিয়ে এত আগ্রহ কখনো দেখিনি

শেখ হাসিনা মনে করেন, ‘ভোট নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনার কমতি ছিল না। আমি অনেকবারই নির্বাচন করেছি। সেই ১৯৮৬ সাল থেকে আটবারই আমার নির্বাচন করা হয়ে গেছে। তবে এত মানুষের আগ্রহ আগে দেখিনি। আমি মনে করি, বাংলাদেশের জনগণ অনেক আনন্দিত এবং নির্বাচন যারা পর্যবেক্ষণ করেছেন, মতামত দিয়েছেন সেটা উপযোগী। সেই জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।’

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার করেছি

২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলাফলের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সব সময় এটাই চেষ্টা ছিল নির্বাচনটাকে সুষ্ঠু করা। মানুষের যে ভোটের অধিকারটা অর্থাৎ সে যাকে চায়, কে সরকারে থাকবে, সেটা মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে। সেই জন্য নির্বাচনের ব্যবস্থাকে সংস্কার করেছি। নির্বাচন চলাকালে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, সবাইকে নির্বাচন কমিশনের অধীন করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা- সেটাই লক্ষ্য ছিল। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোটের হার বাড়াতে নিজ দলের নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বাধা না দিয়ে বরং উৎসাহ দিয়েছে। তাতে বহু আসনে ভোটের হার বেড়েছে।’

এবারের নির্বাচন ব্যতিক্রমী

নির্বাচনটাকে ‘ব্যতিক্রমী’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাধারণত আমরা দলের প্রার্থী ঠিক করে দিই বা সব দল তাদের প্রার্থী নির্বাচন করে দেয়। এবার আমরা আমাদের প্রার্থী নির্বাচিত করেছি, পাশাপাশি এ নির্বাচনটা উন্মুক্ত করে দিয়েছি, যার ইচ্ছামতো দাঁড়াতে পারবে।’ বিএনপির ভোট বর্জন নিয়ে তিনি বলেন, ‘দলটি সামরিক স্বৈরশাসকের হাতে তৈরি। তারা নিজেরা চলতে পারে না, নিজেদের জনসমর্থন থাকে না। সেই জন্য নির্বাচনকে ভয় পায়। আমাদের দল হলো জনগণের। রবিবারের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’ বিদেশিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা এসে দেখেছেন এবং আমাদের দেশের মানুষ কিভাবে ভোট দেয় তার সাক্ষী হয়েছেন।’

প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, কোনো দল যদি নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে বিবিসির সাংবাদিক সামিরা হুসেইন প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি প্রধান বিরোধী দলকে ২০১৮ সালের পর থেকে সংলাপে অন্তর্ভুক্ত করেননি। তাদের অনুপস্থিতিতে গতকালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। যেখানে ৬০ শতাংশ মানুষ ভোট দেননি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সীমিত করা হয়েছে বলে মানবাধিকারকর্মীরা আপনার সরকারের সমালোচনা করছেন। আপনি কি বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে একটি গতিশীল গণতন্ত্র থাকবে, যেখানে কোনো বিরোধী দল নেই?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি দলের নিজেদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আছে। সেখানে যদি কোনো দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই না যে গণতন্ত্র নেই। আপনাকে বিবেচনা করতে হবে মানুষ অংশ নিয়েছে কি না। আপনি যে দলের (বিএনপি) কথা বলেছেন, তারা আগুন দেয়, মানুষ হত্যা করে। কিছুদিন আগে ট্রেনে আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছে। এটা কি গণতন্ত্র? এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মানুষ এটা গ্রহণ করে না। এ ধরনের ঘটনা এ দেশে একাধিকবার ঘটেছে। আমরা ধৈর্য দেখিয়েছি।’ মানুষের অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। বিরোধী দলবিহীন নির্বাচন এবং অর্ধেকের কম ভোট পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যদি এখানে গণতন্ত্রের আর কোনো সংজ্ঞা থাকে, সেটা ভিন্ন। মানুষের অংশগ্রহণই বড় কথা। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি মানুষকে এ নির্বাচনে ভোট না দিতে উৎসাহিত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মানুষ তাদের কথা শোনেনি। প্রধানমন্ত্রী বিবিসির সাংবাদিককে পাল্টা বলেন, বিএনপি কত মানুষ মেরেছে, সে প্রশ্ন তিনি করেননি। তারা ২০১৪-১৫ সালে যা করেছে, তাতে তাদের কিভাবে গণতান্ত্রিক দল বলা যায়? তারা সন্ত্রাসী দল এবং মানুষ তাদের সমর্থন করে না।

গণতান্ত্রিক দেশে বিরোধী দল থাকাটা জরুরি, তা উল্লেখ করে আরেকজন সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিরোধী দলে ছিলাম দীর্ঘদিন ধরে। আমাদের দলকে আমরা সংগঠিত করেছি। বিরোধী দলকে তাদের নিজেদের সংগঠিত করতে হবে। আপনি আমাকে বিরোধী দল গঠন করতে বলতে পারেন না। অবশ্য আপনি চাইলে আমরা সেটা করতে পারি। কিন্তু সেটা আসল বিরোধী দল হবে না।’

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা হবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউনূসের বিষয়টি শ্রম আদালতের বিষয়। তিনি শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর শ্রমিকদের ঠকিয়েছেন। শ্রমিকরা মামলা করেছেন। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কিছু করার নেই বলেও জানান তিনি।