উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
৩ জানুয়ারী ২০২৪, ৭:২৮ অপরাহ্ণ
জেলা প্রতিনিধি (নওগাঁ): নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে শেষ মুহুর্তে জমে ওঠেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা। রাত-দিন প্রার্থী-প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা ছুটে চলেছেন ভোটারদের বাড়ী বাড়ী। চলছে জনসংযোগ,উঠান বৈঠক,পথশোভা। সামনে ভোটের আর মাত্র তিন দিন সময় রয়েছে। যেনো নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। কে জিতবে এই ভোটে তা নিয়ে হাটে বাজারে,চা-স্টল ও পাড়া মহল্লায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়। এবার এই আসনে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮জন প্রার্থী। এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে নৌকা-ট্রাকের মধ্যে এমনটায় ধারনা করছেন ভোটাররা।
জানা গেছে, এই আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনিত প্রার্থী ও রাণীনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল (নৌকা), নওগাঁ জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান বিষয়ক সম্পাদক ওমর ফারুক সুমন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ট্রাক), রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা নওশের আলী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (কাঁচি), আওয়ামীলীগ সমর্থক প্রকৌশলী জাহিদুল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (ঈগল), জাতীয় পার্টি মনোনিত আবু বেলাল জুয়েল (লাঙ্গল), তৃনমূল বিএনপির পি.কে আব্দুর রব (সোনালী আঁশ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির যুগ্ন মহাসচিব খন্দকার ইন্তেখাব আলম রুবেল (আম) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টি থেকে সরদার মো: আব্দুস সাত্তার (ডাব) প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ভোটাররা বলছেন, এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকলেও নির্বাচনী প্রচার প্রচারনায় হাতে গোনা ৩/৪জন প্রার্থী মাঠ দাপিয়ে চলেছেন। এছাড়া অন্য প্রার্থীরা এলাকায় পোস্টার-ব্যানার এবং মাইকিংয়ের মধ্যেই সিমাবদ্ধ রয়েছেন। সূর্য ওঠার সাথে সাথে রাত পর্যন্ত প্রার্থী-প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা গ্রামে গ্রামে, বাড়ী বাড়ী, হাটে-বাজারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। কোথাও ওঠান বৈঠক আবার কোথাও পথশোভার মাধ্যমে এবং নানা ভাবে এলাকাবাসীর জীবন-মান উন্নয় ও সু-নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে, মাদক নিয়ন্ত্রন, বাল্য বিবাহ রোধসহ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ দমন এবং বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার কথা তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। ভোটাররা বলছেন যে প্রার্থীকে নির্বাচিত করলে আমরা ভাল থাকতে পারবো,আমরা সে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিবো। ভোটারদের মতে,মুলত এই আসনে নৌকা এবং ট্রাক প্রতিকের মধ্যেই হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামীলীগ দলীয় একাধিক নেতা-কর্মীরা জানান, বিএনপির ঘাটি খ্যাত এই আসনে গত ২০০৮ সাল থেকে এপর্যন্ত নৌকার বিপরীতে কোন প্রার্থীই জয়লাভ করতে পারেনি। কিন্তু চলতি নির্বাচনে নিজ দলের মধ্যে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে অনেক নেতা-কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্য প্রচারনায় অংশ নিচ্ছেন। এতে সাধারণ ভোটার ও তৃনমূল পর্যায়ের কর্মীরা পরেছেন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে। ফলে নৌকার বিজয় চ্যালেঞ্জ হয়ে দারিয়েছে।
নৌকার প্রার্থী এমপি আনোয়ার হোসেন হেলাল বলেন, গত উপ-নির্বাচনে ভোটে নির্বাচিত হবার পর থেকে এই আসনে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী বন্ধসহ সাধারণ মানুষ যেন সুখে-শান্তিতে এবং নিরাপদে থাকতে পারেন সে লক্ষে কাজ করে এসেছি।বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাধারণ ভোটাররা আবারো বিপুল ভোটে নৌকা মার্কাকেই বিজয়ী করবে।
এ ব্যাপারে মতামত জানতে ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করে এবং ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন সারা পাওয়া যায়নি। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।