ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো'র ১০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
১০ আগস্ট ২০২৩, ৩:০৩ অপরাহ্ণ
বন্যা কবলিত জেলা হিসাবে নেত্রকোনা জেলা কিছুটা যুকীপূর্ণ হওয়ায় কোন কোন এলাকায় জমিভেদে মধ্য আষাঢ় থেকে শুরু করে ভাদ্র র শেষ পর্যন্ত আমন ধানের চারা জমিতে রোপন করা হয়। এ বছর আষাঢ়ের শুরু থেকেই বৃষ্টি হওযায় কৃষকরা মধ্য আষাঢ় থেকেই জমিতে আমন চারা রোপন করেছেন। প্রথম অবস্থায় কৃষকরা আগাম জাতের আমন ধানের চারা রোপন করেছে। পরবর্তিতে অন্যান্য ধানের চারা রোপন করেছে। অনেক নিচু জমিতে বেশি পানি জমে থাকায় চারা রোপন সম্ভব হয়নি আগেভাগে। তাই অনেকে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে দোগাছি চারা রোপন করে রেখেছিল। আর মৌসূমের শেষে এসে সেই ধানের চারা তুলে জমিতে পুনরায় রোপন করছেন তারা এমনটাই জানালেন।
জেলার মদনপুর এলাকার কৃষক রজব আলী জানান,১ বিঘা জমিতে চারা লাগানোর জন্য জমি ও চারা প্রস্তুত। কিন্তু শ্রমিক না পাওয়ায় ছেলেপেলে নিয়ে নিজেই চারা লাগানো শুরু করে দিয়েছি। হালের বলদ কমে যাওয়ায় অধিকাংশ কৃষক কলের লাঙ্গলের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। এজন্য একমাত্র ভরষা ট্রাক্টর। অনেক জায়গায় আবার পাওয়ার ট্রেইলার দিয়েও জমি চাষ করা হচ্ছে। এগুলো প্রতি বিঘা জমিতে দুই বার চাষ দিতে নিচ্ছে এক হাজার টাকা করে। তারপরও সিরিয়াল দিতে হয় কয়েক দিন আগে।
অন্যদিকে কৃষিজমি আবাদে শ্রমিক সংকট একটা সমসা হিসাবে দেখা দিয়েছে । ৫শ টাকায় পুরুষ ও ৩শ টাকায় নারী শ্রমিকদের মজুরী দিয়েও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।তবে এ বছর অধিকাংশ কৃষক প্রতি বিঘা জমি দুই হাজার টাকা চুক্তিতে আমন চারা লাগিয়েছে ।
কিন্তু কৃষি বিভাগের ভাষ্য মতে,এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশী ফসল উৎপাদন হবে।