মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় বনবিভাগের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা


২ জানুয়ারী ২০২৪, ৪:৫৫ অপরাহ্ণ 

সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় বনবিভাগের দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

জেলা প্রতিনিধি (বাগেরহাট): প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়াতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার ওপর দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে সুন্দরবনের কাঁকড়া ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বনবিভাগ। বনবিভাগ ইতিমধ্যেই জেলেদের কাঁকড়া ধরার পাস দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুন্দরবনের পশ্চিম ও পূর্ব বিভাগে এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় (বাগেরহাট) বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম বলেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে কাঁকড়া রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি এই দুই মাস কাঁকড়া সুন্দরবনের নদী-খালে ডিম পেড়ে থাকে। আর সেই ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে বের হয়। তাই এই সময়কালে কাঁকড়ার প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কাঁকড়ার যখন ডিম হয়, তখন কাঁকড়া ধরা খুবই সহজ হয়ে পড়ে। কারণ এই সময়টাতে ডিমওয়ালা কাঁকড়া কম বিচরণ করে। ফলে প্রয়োজনীয় খাবার শিকারের অভাবে ডিমওয়ালা কাঁকড়া খুবই ক্ষুধার্ত অবস্থায় থাকে। যার ফলে এ প্রজনন সময়কালে সামনে যে খাবার দেওয়া হয়, তাই খাওয়ার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসে। যদি এই সময়টাতে কাঁকড়া ধরা না হয়, তাহলে পরের বছর অনেক বেশি কাঁকড়া উৎপাদন সম্ভব। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমকে ঘিরে সুন্দরবনে বনরক্ষীদের টহলও জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সুন্দরবনে ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে। কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি এই দুই মাসের ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার পাস/অনুমতি বন্ধ রাখা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সুতারখালী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম আলী ফকির জানান, কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুমে শুধু পাশ পারমিট বন্ধ রাখলে হবে না। অন্যান্য বছরের মত এবছর বনবিভাগের কতিপয় দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় যাতে কোন অসাধু ব্যবসায়ী ও জেলে অবৈধভাবে বনে ঢুকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাহলে চিংড়ির চেয়েও অর্থনৈতিক কারনে উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় প্রাকৃতিক এই সম্পদ বৃদ্ধি পাবে বলে তিনি করেন। আর সরকারি এই সম্পদের ক্ষতি ও নষ্টের সাথে কেউ জড়িত হলে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।