সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিধবা নারীকে কুপিয়ে জখম


১ জানুয়ারী ২০২৪, ৫:২১ অপরাহ্ণ 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিধবা নারীকে কুপিয়ে জখম
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুরের জাজিরায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নাজমা বেগম(৪০) নামের এক বিধবা নারীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে  জাজিরা পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর নুরু মাদবরের ছেলে লুৎফর মাদবর, আক্তার মাদবর, এবং আউয়াল মাদবর।

গতকাল রবিবার (৩১ডিসেম্বর) ভোর ৬ টায় জাজিরা পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের আহাদ্দি মাদবর কান্দি এলাকায় এঘটনা ঘটে।

এসময় স্থানীয়রা আহত নাজমা বেগমকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে গুরুত্বর অবস্থা হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. তানভীর আহমেদ জানান, সকাল ৮ টার দিকে নাজমা বেগমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের আঘাত নিয়ে  স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমি নাজমা বেগমকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করি। তবে তার অবস্থা গুরুতর থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করি।

ভুক্তভোগী  নাজমা বেগমের মেয়ে সাইফা বলেন, আমার বাবা মারা যাওয়ার আগে তার সকল জমিজমা আমার মায়ের নামে লিখে দিয়ে যান। বাবা ছাড়া আমার মা সেই সকল জমিতে চাষাবাদ করে আমাদের সংসার লেখাপড়া থেকে শুরু করে সকল কিছুর খরচ যোগান দেন। আজ সকালে ক্ষেতে ফসল বুনতে যাওয়ার পর আমার মা'কে মারাত্মক ভাবে কুপিয়ে যখম করে জমিতে ফেলে  যায় লুৎফর মাদবর, আক্তার মাদবর এবং আউয়াল মাদবর। আমি বাবা হারা মেয়ে হিসেবে অপরাধীদের কঠিন বিচার চাই।

আহত নাজমা বেগমের ভাই বিল্লাল হাওলাদার জানান, আমার ছোট বোন তার জমিতে হালচাষ দিতে গেলে নুরু মাদবরের ছেলেরা আমার বোন নাজমাকে চাইনিজ কুড়াল এবং রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। প্রায় ৩৬টা কোপের আঘাতসহ আমার বোনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দিচ্ছি, তবে তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হওয়ায় কি হয় এখন কিছু বলা যাচ্ছেনা। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

অভিযুক্ত লুৎফর মাদবর এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমার ক্রয়কৃত উক্ত জমিটিতে আমি দুইবার সরিষা বুনেছিলাম। জমিটা নিয়ে আদালতে মামলা হয়েছিলো, যেখানে আমার পক্ষে রায়ও ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু রাতের আঁধারে ওরা আমার জমিতে হাল দিতে গেলে আমি তাদের বাঁধা দিতে যাই। এসময় আমাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ার এক পর্যায়ে মারামারি হয় এবং ধারালো ছেনদা দিয়ে আমার পায়ে কোপ দিয়ে জখম করায় আমিও চিকিৎসা নিয়েছি।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনা তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে সাথে সাথে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে মামলা নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।