বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪

তীব্র শীতে অ্যালার্জি সমস্যায় করণীয়


১ জানুয়ারী ২০২৪, ১:৩৩ অপরাহ্ণ 

তীব্র শীতে অ্যালার্জি সমস্যায় করণীয়
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগ ব্যক্তিদের জন্য জানুয়ারি মাস বেশ ভোগান্তির। কেননা, তীব্র শীতের এ সময়টায় তারা বেশি সমস্যায় ভোগেন।

এ কারণে বৈচিত্র্যের ঋতু শীতকে অনেকেরই অপছন্দ। আর এ অপছন্দের কারণ তারা শীতে ‘কোল্ড অ্যালার্জি’ এবং ‘ডাস্ট অ্যালার্জি’র সমস্যায় ভোগেন। শীতের রুক্ষ ও শুষ্ক পরিবেশে কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জি সংক্রমণ অনেক বেড়ে যায়। তাই শীতের এ সময়টায় অনেকেই এ দুই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন কোল্ড  অ্যালার্জিতে ভোগা রোগীর সর্দির সঙ্গে হাঁচি-কাশি প্রায়ই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এর সঙ্গে নাক দিয়ে পানি পড়া, এমনকি হতে পারে জ্বর ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে র‌্যাশ। অন্যদিকে ডাস্ট অ্যালার্জির লক্ষণ হিসেবেও হাঁচি-কাশি, চোখ-নাক থেকে অনবরত পানি পড়া, ত্বকে চুলকানি, লালচে ভাব, ব়্যাশ, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

যদি শীতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন, তবে হঠাৎই ওষুধ খাওয়া শুরু করবেন না। কেননা, বেশির ভাগ ওষুধেরই রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ওষুধ ব্যবহার না করে ঘরোয়া উপায়ে এ রোগের সমাধান করতে পারেন। বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জি থেকে অনেকটাই দূরে রাখে আপনাকে।

যদি কোনো কারণে কোল্ড কিংবা ডাস্ট অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হন, তবে এসব খাবার অ্যালার্জি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কাজে আসে। আসুন সেই খাবারগুলোর নাম জেনে নিই–

ডাস্ট অ্যালার্জির চিকিৎসায় ঘি দুর্দান্ত কাজ করে। এ জন্য আধা চা-চামচ ঘি-র সঙ্গে পরিমাণমতো গুড় মিশিয়ে খান। অনিয়ন্ত্রিত হাঁচি ও অ্যালার্জির প্রভাব কমাতে এক চা-চামচ ঘি গরম ভাতের সঙ্গে নিয়মিত খেতে পারেন।

মধুও ডাস্ট অ্যালার্জি প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে। কোল্ড অ্যালার্জির সমস্যা দূর করতেও মধুর জুড়ি নেই। গবেষণায় দেখা গেছে, মধু পরিবেশে উপস্থিত অ্যালার্জেনের সঙ্গে শরীরকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করে। এ ছাড়া মধুতে থাকা প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্য অ্যালার্জির ফুসকুড়ি কমায়।

যদি কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জি খুব বেশি হয়, তাহলে গোসলের সময়ও পানিতে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। পাশাপাশি অবশ্যই রাতে শুতে যাওয়ার আগে একবার করে ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েলের ভাপ নিন।

খাবারে তিতাজাতীয় খাবার বাড়িয়ে তুলন। নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখুন করলা ও নিমপাতা ভাজা। সকালে খালি পেটে চিরতা খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন, যা ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণসহ অ্যালার্জি প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

অ্যালার্জি থেকে বাঁচার আরও একটি কার্যকরী উপায় হলো প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ গ্রহণ করা। ভিটামিন ‘সি’ পেতে টকজাতীয় ফলমূল খেতে পারেন। কিংবা নিয়মিত খেতে পারেন ভিটামিন ‘সি’ ট্যাবলেট।

এ ছাড়া গ্রিন টি, মসলা চা, দুগ্ধজাত পদার্থ, গরম মসলাযুক্ত খাবার (দারুচিনি, এলাচ লবঙ্গ), বিভিন্ন রকম বাদাম, সবুজ ও লাল সবজি কোল্ড ও ডাস্ট অ্যালার্জির সংক্রমণ রোধ করতে কার্যকরী।