জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:৪০ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উত্তর লালুয়া ইউনিয়ন কাউন্সিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে গোপনে ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় বিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবকরা। শনিবার বেলা ১২টায় প্রায় অর্ধশতাধিক অভিভাবকদের উপস্থিতিতে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,পুরোনো কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩ মাস আগে নতুন কমিটি নির্বাচনের নিয়ম রয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে অবহিত করার পাশাপাশি ওই এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান এবং বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেনী কক্ষে নির্বাচন প্রক্রিয়ার নোটিশ টানিয়ে দিতে হবে। যাতে বিষয়টি ওই এলাকার সবাই এবং অভিভাবকরা জানতে পারে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শুধুমাত্র ওই বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির মধ্যে একটি নির্বাচনী তফসিলের নোটিশ টানান প্রধান শিক্ষক। এছাড়া কোথাও টানানো হয়নি নোটিশ। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও নির্বাচনের কোন বিষয় অবহিত করা হয়নি। ওই নির্বাচনী তফসিলের নোটিশে লেখা হয়, ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র বিতরন, গ্রহন ও জমাদান। ৭ ডিসেম্বর মনোনয়ন পত্র বাছাই ও বৈধ তালিকা প্রকাশ। ৯ ডিসেম্বর মনোননয় পত্র প্রত্যাহার। ৩০ ডিসেম্বর সকল সদস্য পদে নির্বাচন।
গতকাল শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নির্বাচন গ্রহন তো দুরের কথা প্রধান ফটকে ঝুলছে তালা। মূলত প্রধান শিক্ষকের পছন্দ সই ব্যক্তিদের গোপনে নির্বাচিত করার লক্ষে এক মাসেও নির্বাচনের কোন বিষয় জানতে পারেনি এলাকাবাসী বলে দাবি অভিভাবকদের। অভিভাবকরা পুনরায় তফসিল ঘোষনা করে নির্বাচন গ্রহনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
ওই বিদ্যালয়ের দুইশ’ গজ দুরে অবস্থিত আব্বাস মৃধার বাড়ি। তার ছেলে আযিম মৃধা ওই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। আব্বাস মৃধা জানান, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ মাষ্টার যোগদান করার পর থেকেই নানা অনিয়ম হচ্ছে। এর আগে যে নির্বাচন হয়েছিলো সেটিও আমরা জানতে পারিনি।
একই এলাকার পিন্টু মৃধা জানান, আমার ছেলে নুহু ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। প্রধান শিক্ষক মনগড়া কমিটি করে। এর আগেও করেছে। যার কারনে লেখাপড়ার মান অনেক নিচে নেমে গেছে। এই এলাকার অনেকের ছেলে মেয়েদের অন্য বিদ্যালয় নিয়ে ভর্তি করেছে। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ ভালোভাবে বিদ্যালয় না চালাতে পারলে তো আরো অবনতি হবে। এভাবে চলতে থাকলে আমার সন্তানকেও অন্য বিদ্যালয়ে নিয়ে যাবো। আমরা নতুন করে তফসিল ঘোষনার মাধ্যমে নির্বাচন গ্রহনের অনুরোধ জানাচ্ছি।
উত্তর লালুয়া ইউ,সি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ জানান, সকল নিয়ম মেনেই নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা।
কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা জানান, আমাদের কাছে ম্যানেজিং কমিটির বিষয় নিয়ে ওই এলাকার এক ব্যক্তি এসেছিলো। তবে আমাদের এখন কিছু করার নেই। কারন নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে গেছে।