
বগুড়ায় ফ্রিল্যান্সারকে অপহরনের দায়ে সাব-ইন্সেপেক্টরসহ পুলিশ আটক
৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উচ্চ জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে বাগেরহাট জেলার চার হাজারের বেশি মাছের ঘের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে এবারের বৃষ্টিতে কৃষি ক্ষেত্রে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি । এক সপ্তাহ পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কিছুটা কমায় পানি কমতে শুরু করেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলায় ৪ হাজার ২৩০টি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এতে মৎস্যচাষিদের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৭৫টি, কচুয়ায় ৬৪০, শরণখোলায় ১০০, রামপালে ১ হাজার ৫৪০, মোরেলগঞ্জে ৮৫৪ ও মোংলায় ৭২১টি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
সব মিলে ৩ হাজার ৮২৫ একর জমিতে থাকা ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তরের এই ক্ষয়ক্ষতির হিসাবের বাইরেও আরও অন্যান্য এলাকার ঘের ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে দাবি মৎস্যচাষিদের।বাইনতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির আবদুল্লাহ বলেন,‘পানিতে অনেকের ঘের তলিয়ে গেছে। পানির প্রচণ্ড চাপে কারও কারও ঘেরের বাঁধ ভেঙে গেছে। আমার নিজের ঘেরও তলিয়েছে। আমার ইউনিয়নের মাছচাষিরা বেশ বিপদে পড়েছেন এই বৃষ্টিতে।’বাগেরহাট সদরের কাশেমপুর এলাকার মৎস্যচাষি মো.কবির হোসেন বলেন,‘টানা বৃষ্টিতে তাঁর ডেমা বিলের প্রায় ২০ বিঘা জমিতে থাকা ঘেরের চিংড়ি ও সাদা মাছ ভেসে গেছে। এতে তাঁর প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিতে পানি বাড়তে থাকায় ঘেরের চারপাশে নেট জাল দিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু স্রোতের তোড়ে সেই জাল ছিঁড়ে মাছ ভেসে গেছে।’
সকাল থেকে বৃষ্টি না থাকায় পানি কমতে শুরু করেছে। বিভিন্নএলাকার সড়কের ওপর থাকা পানি নেমে গেছে। পানি নেমে যাওয়ায় জলাবদ্ধতার শিকার পরিবারের সংখ্যাও কমেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান। এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘রোববার পর্যন্ত ৭ হাজার ৫১০টি পরিবার পানিবন্দী ছিল।বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন,ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে জেলার ৪ হাজার ২৩০টি ঘেরের ক্ষতি হয়েছে। এতে চাষিদের ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩৪ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।