জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
৩০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৪২ অপরাহ্ণ
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে বসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দিচ্ছে। তাকে ধরে এনে বিচার করা হবে। আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
এ সময় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা প্রশ্ন করে বলেন, তারেকের মতো একজন লম্পটের নির্দেশে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দিচ্ছে। আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে লন্ডনে বসে আগুন দেবার হুকুমদাতাকে ধরে এনে বিচার করা হবে, বলেন তিনি।
বিএনপির মধ্যে কোনো মনুষ্যত্ব নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, মানুষ খুন করাই তাদের রাজনীতি। টাকা লুটপাট করে বিদেশে বসে মানুষ খুন করার নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি দেশের উন্নয়ন করতে জানে না তারা শুধু মানুষ পোড়াতে জানে, ওদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই।
নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের চক্রান্তের সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি ভোটের মাধ্যমে দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় ২০০১ সালের পর আজ নির্বাচনী জনসভা করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মঞ্চে উঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় হাতে জাতীয় পতাকা নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান।বক্তব্যের শুরুতেই স্মরণ করেন ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে ঘটা নারকীয় হত্যাযজ্ঞের। এ সময় মা-বাবা, ভাই ও পরিবারের সদস্যদের কথা মনে করে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, খুনীদের আনার জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আমেরিকা, কানাডা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছে না। তবুও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, তাদের ফিরিয়ে এনে হত্যাকারীদের রায় কার্যকর করব। যতো বাধাই আসুক।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যেমন খুনি, তার বউ খালেদা জিয়া, ছেলে তারেক রহমানও খুনি। তারা আমার বাবাসহ পরিবারকে হত্যার পর আমাকে ও আমার বোনকে এতিম করেছে। ২০০৪ সালে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল লন্ডনে থাকা তারেক।
প্রধানমন্ত্রী দুঃখ ভরাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, আমি ও শেখ রেহানা যখন দেশে ফিরে আসি তখন কাউকে খুঁজে পাইনি। কামাল-জামাল-রাসেলকে অনেক মনে পড়ছে, তাদের পাইনি। কিন্তু এদেশের মানুষকে আমি পেয়েছিলাম। যাদের ভালোবাসা আমি পেয়েছি।