৭৪ বছরে পা রাখলো মোংলা বন্দর
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৫:৩৭ অপরাহ্ণ
প্রথমে জানতে হবে শিক্ষানবিশ (লার্নার লাইসেন্স) কি? লার্নার লাইসেন্স হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার প্রাথমিক পর্যায়। লার্নার লাইসেন্স দিয়ে কখনো মোটরকার/মোটরসাইকেল চালানে যাবে না আর যদি আপনি এটাকে লাইসেন্স মনে করে গাড়ি চালান তাহলে আপনাকে ট্রাফিক আইনে মামলার সন্মুখিন হতে হবে।
কারন এটা শুধু আপনি প্রশিক্ষণ নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবেন। এটা সংগ্রহ করার পর আপনাকে বিআরটিএ নিবন্ধিত যে কোন ড্রাইভিং স্কুল থেকে ২/৩ মাস প্রশিক্ষণ নিতে হবে। অথবা আপনি আপনার নিজের গাড়ি দিয়ে ও শিখতে পারবেন সে ক্ষেত্রে গাড়িতে সামনে ও পিছনে (L) লেখা সম্বলিত স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। তবে অবশ্যই সেটা ফাঁকা উন্মক্ত জায়গা হতে হবে। কোন জনবহূল জায়গায় যেতে পারবেন না। প্রশিক্ষণ সফল ভাবে শেষ করে পরীক্ষার তারিখ অনুয়াযী ড্রাইভিং লাইসেন্স এর সকল পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে কৃতকার্য হয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে।
বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার জন্য একজন লাইসেন্স প্রত্যাশী কে ৩ টি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে হয়, তা হলো- লিখিত, মেীখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষা। এ ৩টি পরীক্ষার মধ্যে আপনি যে কোন একটিতে অকৃতকার্য হলে আপনাকে আবার পুনরায়-পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনারা ইতিমধ্যে অবগত আছেন যে , বাংলাদেশ সরকার স্মাট বাংলাদেশ গড়ার জন্য সাধারনের ভোগান্তি কমাতে বিআরটিএ এর সকল সেবা সমূহ অনলাইনে পেতে সর্বোপরি কাজ করে যাচ্ছে। আপনি চাইলে এই সেবাগুলি বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (বিএসপি) থেকে নিতে পারবেন। যেমন- পেশাদার/অপেশাদার নতুন ড্রাইভিং লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন পেপার, ফিটনেস, মালিকানা বদলি, ইঞ্জিন পরিবর্তন ইত্যাদি কাজ বিএসপি পোর্টাল থেকে নিতে পারবেন। ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন করার জন্য আপনার কম্পিউটার/মোবাইল ফোনে গুগল এর সার্চ অপসনে গিয়ে BRTA লিখে সার্চ দিলে BRTA SERVICE PORTAL লিংকে ক্লিক করার পর নিবন্ধন অপসনে ক্লিক করে নিবন্ধিত হতে হবে।
নিবন্ধন করতে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ ও মোবাইল নম্বরটি লাগবে। সকল তথ্য দেওয়ার পর আপনার মোবাইল এ ওটিপি নম্বর যাবে এবং সেটা সাবমিট করতে হবে। এরপর আপনার ই-মেইল নাম্বার দিয়ে পাসওয়ার্ড সেটআপ করে নিতে হবে।
এরপর লগইন অপসনে ক্লিক করে আপনার ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে প্রবেশ করতে হবে তারপর লার্নার লাইসেন্স এর আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে প্রথমে সার্ভিস পোর্টালে আপনার ছবি এটার্চ করে প্রোফাইল হালনাগাদ করে নিতে হবে। এরপর ড্যাশবোর্ড এ ক্লিক করতে হবে সেখানে বামপাশে ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন অপসনটিতে ক্লিক করলে ৫টি অপসন আসবে। সেগুলো মধ্যে প্রথম ধাপ হলো, জাতীয় পরিচয় পত্র তথ্য সেখানে আপনার ভোটার আইডি নাম্বার, নাম, পিতার ও মাতার নাম। দ্বিতীয় ধাপটি হলো ড্রাইভিং লাইসেন্স এর তথ্য সেখানে আপনি অপেশাদার/পেশাদার কোনটি আবেদন করতে চান সেটা সিলেক্ট করতে পারবেন। তৃতীয় ধাপটি হলো, আবেদনকারীর প্রাথমিক তথ্য সেখানে আবেদন কারীর নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, বিবাহিত হলে স্বামী/স্ত্রীর নাম ও মোবাইল নাম, শিক্ষাগতযোগ্যতা, পেশা, দ্বৈত্য নাগরিক হয়ে থাকলে সেখানে ক্লিক করে দেশের নাম সংযুক্ত করতে হবে।
চতুর্থ ধাপ হলো, ঠিকানা ও যোগাযোগের তথ্য সেখানে জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য ব্যাক্তির নাম মোবাইল নাম্বার এবং তার সাথে সম্পর্ক উল্লেখ্য করতে হবে। স্থায়ী ঠিকানা- হোল্ডিং নাম্বার, পাড়া/মহল্লা, রোড/ব্লক, বিভাগ, জেলা, থানা, পোস্ট কোড ( জাতীয় পরিচয় পত্র অনুয়ায়ী ইংরেজীতে অনুবাদ করতে হবে কারন ড্রাইভিং স্মার্ট কার্ড এই অনুয়ায়ী হবে)। বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে পারবেন সেখানে ও হোল্ডিং নাম্বার, পাড়া/মহল্লা, রোড/ব্লক, বিভাগ, জেলা, থানা, পোস্ট কোড ইংরেজীতে দিতে হবে। বর্তমান ঠিকানা আপনি পরিবর্তন করতে পারবেন কারন বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তশীল হয়ে থাকে। তবে পরিবর্তন করার প্রয়োজন না হলে পরিবর্তন করার দরকার নেই। কারন বর্তমান ঠিকানা অনুয়ায়ী আপনার পরীক্ষার ভেন্যূ নির্ধারিত হবে।
পঞ্চম ধাপ হলো, সংযুক্তি ও কার্ড বিতরন এর তথ্য সেখানে আপনার প্রযোজনীয় কাগজপত্র সংযুক্তি করতে হবে এবং স্মার্ট কার্ড প্রাপ্তির ঠিকানা সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে ঠিকানায় ডাকযোগে নিতে চান বর্তমান/স্থায়ী এবং অন্য কোন ঠিকানায় নিতে চাইলে অন্যান্য তে ক্লিক করে তার পূর্ন ঠিকানা আপনার মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
সর্বশেষ ধাপ হলো, সাবমিট অপসনে ক্লিক করতে হবে। তারপর আপনার সকল তথ্য চলে আসবে যদি কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তাহলে পূনরায় ফিরে গিয়ে সংশোধন করতে পারবেন। আর যদি সংশোধন করার প্রয়োজন না হয় তাহলে ফি জমা দিন অফসনে ক্লিক করে অনলাইন এর মাধ্যমে ফি জমা দিয়ে আপনার শিক্ষানবিশ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে। লার্নার লাইসেন্স এ পরীক্ষার যে তারিখ উল্লেখ থাকবে সেই তারিখ অংশগ্রহন করতে হবে।
১। নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন।
২। আবেদনকারীর ছবি [ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১৫০ কেবি (৩০০ x ৩০০ পিক্সেল)]
৩। রেজিষ্টার্ড ডাক্তার কর্তৃক মেডিকেল সার্টিফিকেট (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটের ফর্মের জন্য এখানে ক্লিক করুন ]
৪। জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৫। ইউটিলিটি বিলের স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি), [ আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ঠিকানা যদি ভিন্ন হয় তবে বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল সংযুক্ত করতে হবে ]
৬। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ এর স্ক্যান কপি (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি) [ কমপক্ষে ৮ম শ্রেনী পাশ হতে হবে ]
৭। বিদ্যমান ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্ক্যান কপি [ ড্রাইভিং লাইসেন্সের নবায়ন/শ্রেণী পরিবর্তন/শ্রেণী সংযোজন/ লাইসেন্সের ধরণ পরিবর্তণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ] (সর্বোচ্চ ৬০০কে.বি)
৮। অনলাইনে আবেদন দাখিলের সময় ভুয়া তথ্য প্রদান করা হলে তার লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
৯। নির্ধারিত ফী, ১ ক্যাটাগরি-৫১৮/-টাকা ও ২ ক্যাটাগরি-৭৪৮/-টাকা অনলাইনে পরিশোধ।
ড্রাইভিং লাইসেন্স- লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর পুনরায় একটি নির্ধারিত ফরমে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স-এর জন্য সংশিস্নষ্ট সার্কেল অফিসে আবেদন করতে হবে। গ্রাহকের বায়োমেট্রিক্স (ডিজিটাল ছবি, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও আঙ্গুলের ছাপ) গ্রহণপূর্বক স্মার্ট কার্ড ইস্যু করা হয়। স্মার্ট কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্টিং সম্পন্ন হলে গ্রাহককে এসএমএস এর মাধ্যমে তা গ্রহণের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।