৭৪ বছরে পা রাখলো মোংলা বন্দর
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:৩০ অপরাহ্ণ
বিএনপির ডাকা অবরোধ হরতাল গণসংযোগসহ নানা কর্মসূচি দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ডাক যতটা রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক, ঠিক উল্টো হাওয়া জেলায় উপজেলায় নির্বাচনী মাঠে। দেশের বিভিন্ন সংসদীয় আসনে তুমুল লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এখন পর্যন্ত তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে প্রায় দুইশ আসনে।
রংপুরের ৬ আসনে ৩৫জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে অন্তত চারটি আসলে তুমুল প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত রংপুরে ভোটের হাওয়া বইছে বেশ ভালোভাবেই। প্রার্থীরা প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি পোস্টার লিফলেট ছাপিয়েছেন এবং প্রচার করছেন। তেমন অপ্রীতিকর কোন ঘটনা এখনও নজরে আসেনি। তবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বেশ শক্ত প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
এদিকে হাওড় অঞ্চলে সন্ধ্যার পরে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। এর কারণ হিসেবে সংবাদকর্মী জানান, এখন কৃষি মৌসুম। সারাদিন কৃষক মাঠে কাজ করে। ফলে যাকিছু প্রচারণা এই এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এখানে ৫টি আসনে ২৯জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। একেক জায়গায় তিনজন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে বগুড়া সবসময় বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও সেখানেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। আওয়ামী লীগ, জাতীয়পার্টি, স্বতন্ত্র মিলিয়ে এরইমধ্যে জমে উঠেছে নির্বাচন। বগুড়াতেও মোট সাতটি আসন। সেখানে লড়ছেন ৫৪ জন। তবে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৫টি আসনে। স্থানীয়রা বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের ঘাঁটি হওয়ায় কিছু নেগেটিভ প্রচারণার চেষ্টা আছে কিন্তু জনগণ এখন ভোটের জন্য প্রস্তুত।
ঢাকার অদূরে গাজীপুরে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। এখানে বর্তমান ও সাবেক মন্ত্রী এমপিদের উপস্থিতি থাকায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রার্থীরা ঘরে ঘরে যাচ্ছেন, পথসভা হচ্ছে। ৫টি আসনে ৩৭জন প্রার্থী তাদের কাজ করছেন। ঢাকার কাছাকাছি হওয়ার পরেও এখানে নির্বাচনের আবহ ঢাকার চেয়ে আরও বেশি সরব। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, স্বতন্ত্র, বিএনএফসহ আরও কিছু দলের প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডা হাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হেভিওয়েট প্রার্থীরাও তায় জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না। ভোটারদের কাছে ছুটছেন নিয়মিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচন বিরোধী দলগুলোর রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখে প্রকৃত পরিস্থিতি বুঝা সম্ভব নয়। নির্বাচন নিয়ে যাবতীয় নড়াচড়া, বিবৃতি সব ঢাকা থেকে হওয়ায় যে প্রচার প্রচারণা হয় সেটি তৃণমূলের চিত্র নয়। বরং তৃণমূলে এ তথ্য খুব ভালোভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, নির্বাচনে বাধা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে, ভোটে বাধা দিলে সেই অভিযোগ আমলে নিবে নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি স্বীকার করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেন, কোনো ভোটার যদি আতঙ্কে থাকার অভিযোগ করেন তাহলে প্রমাণ ছাড়াই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ভাষ্য, কোনো ভোটার যদি বলেন তিনি আতঙ্কে রয়েছেন, তাকে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে তাহলে কোনো প্রমাণ বা সাক্ষী লাগবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ভোটাররা নির্দ্বিধায় ভোটকেন্দ্রে আসবেন এবং তারা যাকে খুশি ভোট দেবেন। সে জন্য নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।