উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লড়ছেন ৯৪ জন নারী। এদের মধ্যে বেশির ভাগই স্বতন্ত্র হিসেবে ভোটের মাঠে থাকলেও দল হিসেবে নারী প্রার্থী মনোনয়নে সবচেয়ে এগিয়ে আওয়ামী লীগ।
লড়াইয়ে আছেন ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীও। নির্বাচনে মনোনয়ন ও দলীয় পদে আরও বেশি সংখ্যক নারীকে যুক্ত করার কথা বলছে রাজনৈতিক দলগুলো।
আর শুধু নির্বাচনে মনোনয়ন নয়, রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে নারীদের ক্ষমতায়নের পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
ভোটের বাকি হাতেগোনা আর মাত্র কয়েক দিন। তাই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীরা। নির্বাচকদের মন জয়ের প্রতিযোগিতা একচুলও পিছিয়ে থাকতে চান না নারী প্রার্থীরাও। তাইতো সমানতালে সংসদীয় এলাকার আনাচে-কানাচে অলি-গলে চষে বেড়াচ্ছেন তারা।
দেশের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচন ১৯৭৩ সালে মাত্র দু’জন নারী প্রার্থী ছিলেন। পাঁচ দশকের পরিক্রমায় এবার রেকর্ড সংখ্যক ৯৪ জন নারী প্রার্থী আছেন ভোটযুদ্ধে। আওয়ামী লীগের হয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে সংসদে যেতে চান ২০ নারী।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনিসহ অনেকেই কয়েকটি সংসদে প্রতিনিধিত্বও করেছেন। দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি নারীকে মনোনয়নের দিয়েছে আওয়ামী লীগই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাজী কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে তার সঙ্গে ভাইদের পাশাপাশি বোনদের সঙ্গী করে সমঅধিকারের একটি টিম নিয়ে তিনি দেশ পরিচালনা করতে পারবেন।
দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদের ও সালমা ইসলামসহ ৯ নারীকে সংসদে দেখতে চায় জাতীয় পার্টি। ৯ জন করে নারী প্রার্থী দিয়েছে বাংলাদেশ কংগ্রেস ও ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টিও।
আর তৃণমূল বিএনপি ৬, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট ও বিএনএফ ৩ জন করে নারী প্রার্থী দিয়েছে। গণফ্রন্ট আর সুপ্রিম পার্টি ২ জন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, জাতীয় পার্টি-জেপি, বিএনএম, কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি সংসদে ১ জন করে নারী প্রতিনিধি চায়।
আর স্বতন্ত্র হিসেবে মাহিয়া মাহি, জয়া সেন গুপ্তা, সাবিনা আক্তার তুহিন ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীসহ ভোটে লড়ছেন ২৬ জন। এবার রংপুর-৩ ও গাজীপুর-২ আসনে আছেন দুই ট্রান্সজেন্ডার সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, নারীর উন্নয়ন নিশ্চিতে আরও বেশি নারী প্রতিনিধির দরকার। কারণ একজন নারীই কেবল নারীর কষ্টের কথা বলতে পারেন, অন্যদের দিয়ে তা সম্ভব না।