স্মরণ সভা-দোয়া মাহফিল ও শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধণা
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ৬:৩২ অপরাহ্ণ
ঘুম ও আবেগ | ছবি: প্রতীকী
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
ঘুম এবং আবেগ বলা যায় একে অপরের পরিপূরক। শিশু- কিশোর কিংবা বয়োজ্যৈষ্ঠ সবার জন্যই ঘুম খুবই অত্যাবশ্যক। আমরা বাসায় অথবা কর্মক্ষেত্রে,খেলার মাঠে বা বন্ধুদের সাথে আড্ডায় মেতে উঠি। কিন্তু প্রায়শই দেখা যায় কোন না কোন কারনে আমরা একে অন্যের প্রতি আবেগতাড়িত হই। আর এর থেকে অনেক সময় একজন অন্যজনের প্রতি অযথা বা অহেতুক ভুল ধারনা পোষন করে বসে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আজকের প্রসঙ্গের আজকের এই পর্যায়ে থাকছে আপনি কিভাবে আপনার ঘুম এবং আবেগ উন্নত করবেন এই নিয়ে কিছু পরামর্শ।
সুসংবাদ হল যে আপনার ঘুমের গুণমান এবং পরিমাণ উন্নত হলে আপনার মানসিক কার্যকারিতাও উন্নত করতে পারে। ঘুম নিয়ে বিভিন্ন গবেষণার সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে কমপক্ষে সাত ঘন্টা ঘুমানো উচিত এবং কিশোর এবং শিশুদের আরও বেশি ঘুমানো উচিত। তবে এটি নিশ্চিত যে, গবেষণাটি আপনার ঘুমের স্বাস্থ্যবিধি উন্নত করার জন্য কিছু ভালো পরামর্শ প্রস্তাব করেছে।
আসুন তাহলে জেনে নেই ঘুম এবং আবেগ উন্নত করার পরামর্শ গুলো কি কি?
(১) নিয়মিত ঘুমের সময়সূচীতে থাকুন এবং দিনের বেলা ঘুমানো এড়িয়ে চলুন।
(২) ক্যাফেইন, অ্যালকোহল, নিকোটিন এবং অন্যান্য উদ্দীপক এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে সন্ধ্যায় বা ঘুমানোর আগে।
(৩) একটি আরামদায়ক এবং শান্ত ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন এবং বিছানায় যাওয়ার আগে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের ব্যবহার একেবারে পরিহার করুন।
(৪) ঘুমানোর আগে আরামদায়ক ক্রিয়াকলাপে ব্যস্ত থাকুন, যেমন পড়া, গান শোনা বা ধ্যান করা, আরও করতে পারেন যা আপনার মনকে ভাল রাখতে পারে এমন কিছু।
(৫)যদি আপনার ঘুমাতে সমস্যা হয় বা ঘুমিয়ে থাকতে সমস্যা হয়, অথবা যদি আপনার ঘুমের ব্যাধির লক্ষণ থাকে, যেমন নাক ডাকা।
সব শেষে বলতে চাই, ঘুম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি চলবে না। আপনার ঘুমের প্রতি নজর বাড়ান। ঘুমের এই পরামর্শ গুলি অনুসরণ করে, আপনি কেবল আপনার ঘুমই নয়, আপনার আবেগও উন্নত করতে পারেন। আপনি আপনার ইতিবাচক আবেগ বাড়াতে পারেন, আপনার নেতিবাচক আবেগ কমাতে পারেন এবং আপনার মানসিক স্বীকৃতি এবং নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে পারেন। এছাড়াও আপনি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন, এবং মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধ বা চিকিত্সা করতে পারেন। সুতরাং, ঘুমের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করবেন না এবং এটিকে আপনার জীবনে অগ্রাধিকার দিন।