জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১:৪০ অপরাহ্ণ
বিয়ে জীবনের পবিত্র এক অনুষঙ্গ। বিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্ক। আল্লাহ তাআলাই পৃথিবীতে জোড়া মিলিয়ে পাঠিয়েছেন। বিয়ের পরও শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ জড়িয়ে পড়ে পরকীয়ায়। ইসলামে পরকীয়া কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এর শাস্তিও ভয়াবহ।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, 'তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই তা অশ্লীল কাজ ও মন্দ পথ। বরং পরকীয়া ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ। পরকীয়ার মূল উদ্দেশ্যই থাকে জেনা (অবৈধ সম্পর্ক)।
পরকীয়ার মতো অবৈধ সম্পর্ক কেবল আখেরাতকেই বরবাদ করে না দুনিয়ার জীবনেও রক্তপাত ও নির্মম হত্যার মতো ঘটনার উপলক্ষ্য হয়। নর-নারীর অবৈধ সম্পর্কের অনুকূল পরিবেশ সযত্নে লালন করলে সে সম্পর্কের বিষ ও দূষণ তো যখন তখন সমাজে প্রকাশ হওয়ার শঙ্কা থেকেই যায়। নর-নারীর বিবাহপূর্ব ও বিবাহোত্তর সব রকম অবৈধ সম্পর্কের বিরুদ্ধে ইসলাম বহু দিকনির্দেশনা দিয়েছে।
ইসলামের বিচার ও আইনি ব্যবস্থায় বিবাহিত নর-নারীর অবৈধ সম্পর্ককে অধিকতর কঠোর দৃষ্টিতে বিবেচনা করা হয়েছে। আজ বিষাক্ত পরকীয়ায় মমতাময়ী মায়ের হাতে বলি হচ্ছে সন্তান। এ অবৈধ সম্পর্ক মা ও সন্তানের পরস্পরের যে বন্ধন তাতেই ফাটল ধরিয়ে দিয়েছে। এ সব অবৈধ সম্পর্ক থেকে বাঁচতে ইসলামি শিক্ষার বিকল্প নেই। নারী-পুরুষ সম্পর্ক, দাম্পত্য, যৌন-নৈতিকতা বিষয়ে ইসলামের শিক্ষার দিকে মনোযোগী না হলে সমাজে এ ধরনের অনৈতিকতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
নারী-পুরুষ সবাইকেই চরিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেন, তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। এটা অশ্লীল কাজ ও নিকৃষ্ট আচরণ। (সুরা বনি ইসরাইল ৩২)
ব্যভিচারকারীদের শাস্তি হিসেবে অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন, ব্যভিচারকারী নারী ও পুরুষ উভয়কে ১০০টি করে বেত্রাঘাত করো (সুরা: নুর ২)। এটা অবিবাহিত জিনাকারীর শাস্তি। আর পরকীয়া কিংবা অন্য কোনো মাধ্যমে বিবাহিত নারী-পুরুষ যদি জিনায় লিপ্ত হয়, তাদের জন্য ইসলামে আরও ভয়াবহ শাস্তি রয়েছে। পাথর নিক্ষেপের মাধ্যমে তাদের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম। ব্যভিচারের শাস্তি হিসেবে আল্লাহ বলেন, ব্যভিচারী ও ব্যভিচারিণী উভয়কে একশ করে বেত্রাঘাত কর। (সুরা: নুর ২)
হাদিসে নববীতে ব্যভিচারের ভয়ানক শাস্তির কথা বর্ণিত হয়েছে। রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, হে মুসলমানগণ! তোমরা ব্যভিচার পরিত্যাগ কর। কারণ, এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি দুনিয়াতে ও তিনটি আখেরাতে প্রকাশ পাবে। যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছে: তার চেহারার ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হয়ে যাবে, তার আয়ু সংকীর্ণ হয়ে যাবে, তার দারিদ্র্য চিরস্থায়ী হবে। আর যে তিনটি শাস্তি আখেরাতে প্রকাশ পাবে তা হচ্ছে: সে আল্লাহর অসন্তোষ, কঠিন হিসাব ও জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করবে। (বায়হাকি, হাদিস ৫৬৪)
হজরত সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি মুখ ও লজ্জাস্থানের হেফাজতের জামিনদার হবে আমি তার বেহেশতের জামিনদার হব। (বুখারি ৭৬৫৮)
বর্তমান সমাজে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় পরিবারে দেবরের সঙ্গে ভাবির সম্পর্ক। দেবরকে মৃত্যুর মতো ভয় করতে বলা হয়েছে। কঠিনভাবে হারামের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। হজরত উকবা ইবনে আমের (রাঃ) থেকে বর্ণিত; রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, সাবধান! তোমরা নির্জনে নারীদের কাছেও যেয়ো না। এক আনসার সাহাবি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! দেবর সম্পর্কে আপনার নির্দেশ কী? রাসুল (সাঃ) বললেন, দেবর তো মৃত্যুর সমতুল্য। (মুসলিম হাদিস ২৪৪৫)
বর্তমান সমাজে সবচেয়ে বড় সমস্যা পরকীয়া। ব্যাপক হারে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠছে। পরকীয়ায় বলি হচ্ছে স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান। প্রবাসীদের স্ত্রীরা সবচেয়ে বেশি জড়িয়ে পড়ছেন এতে।
স্ত্রী পরকীয়া করলে স্বামী থেকে তালাকপ্রাপ্ত হয় না। তাদের বিবাহ বলবৎ থাকে। স্ত্রী গোনাহের কাজ করার কারণে তার গোনাহ হয়েছে। কিন্তু এতে করে তার বিবাহের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। সুতরাং স্বামী স্ত্রী একসাথে বসবাস করতে কোন সমস্যা নেই। স্ত্রী যদি তওবা করে তাহলে তাকে তালাক না দিয়ে শোধরানোর সুযোগ দেয়া উত্তম। فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلَا تَبْغُوا عَلَيْهِنَّ سَبِيلًا ۗ [٤:٣٤] যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। (সুরা নিসা-৩৪)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي لَا تَمْنَعُ يَدَ لَامِسٍ قَالَ: «غَرِّبْهَا» قَالَ: أَخَافُ أَنْ تَتْبَعَهَا نَفْسِي، قَالَ: «فَاسْتَمْتِعْ بِهَا»
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে অভিযোগ করলো, আমার স্ত্রী কোনো স্পর্শকারীর হাতকে নিষেধ করে না। তিনি বললেন, তুমি তাকে ত্যাগ করো। সে বললো, আমার আশঙ্কা আমার মন তার পিছনে ছুটবে। তিনি বললেন, (যেহেতু ব্যভিচারের প্রমাণ নেই) তাহলে তুমি তার থেকে ফায়দা হাসিল করো। (সুনানে আবু দাউদ ২০৪৯, সুনানে নাসায়ি ৩২২৯)
পরকীয়া স্ত্রী বা স্বামী যদি ভুল বুঝতে পেরে ফিরে আসে, তওবা করে, আল্লাহ তাআলা ক্ষমাশীল। সাচ্চা দিলে তওবা করলে স্ত্রী বা স্বামীকে গ্রহণ করতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নেই। তওবা বলা হয় তিন জিনিসকে।
ক) গোনাহের কাজটি ছেড়ে দেয়া।
খ) গোনাহটির জন্য লজ্জিত হওয়া।
গ) ভবিষ্যতে কখনোই উক্ত পাপকর্ম না করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করা।
যদি আপনার স্ত্রী বা স্বামী তওবা করতে সম্মত না হয়, তাহলে পারিবারিকভাবে বিষয়টির সুরাহা করতে চেষ্টা করুন। আপনার স্ত্রী কী চায়? সেকি আপনার সাথে থাকতে চায়? সেকি এ অপকর্ম ছেড়ে দিবে কি না? এসব বিষয়ে পারিবারিকভাবে মিটমাট করতে চেষ্টা করুন। যদি এতেও সক্ষম না হোন তাহলে তাকে এক তালাক প্রদান করে আলাদা করে দিন। তিন তালাক কিছুতেই প্রদান করবেন না। যেহেতু এক তালাকের মাধ্যমেই বিচ্ছেদের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ হয়ে যায়, তাই একাধিক তালাক দেয়া অর্থহীন কর্ম ছাড়া আর কিছু নয়। যেন ভবিষ্যতে মিলমিশ হয়ে গেলে আবার একত্রে বসবাসের সুযোগ বাকি থাকে।
انَّمَا التَّوْبَةُ عَلَى اللَّهِ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السُّوءَ بِجَهَالَةٍ ثُمَّ يَتُوبُونَ مِنْ قَرِيبٍ فَأُولَٰئِكَ يَتُوبُ اللَّهُ عَلَيْهِمْ ۗ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا [٤:١٧]وَلَيْسَتِ التَّوْبَةُ لِلَّذِينَ يَعْمَلُونَ السَّيِّئَاتِ حَتَّىٰ إِذَا حَضَرَ أَحَدَهُمُ الْمَوْتُ قَالَ إِنِّي تُبْتُ الْآنَ وَلَا الَّذِينَ يَمُوتُونَ وَهُمْ كُفَّارٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابًا أَلِيمًا [٤:١٨
অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করবেন, যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর অনতিবিলম্বে তওবা করে, এরাই হল সেসব লোক যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, রহস্যবিদ।
আর এমন লোকদের জন্য কোন ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে,এমন কি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন বলতে থাকে আমি এখন তওবা করছি। আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরি অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সুরা নিসা-১৭-১৮)
الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ ۖ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ ۗ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَن تَأْخُذُوا مِمَّا آتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَن يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۖ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا ۚ وَمَن يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ [٢:٢٢٩]
তালাকে‘রাজঈ’ হল দুবার পর্যন্ত তারপর হয় নিয়মানুযায়ী রাখবে, না হয় সহৃদয়তার সঙ্গে বর্জন করবে। আর নিজের দেয়া সম্পদ থেকে কিছু ফিরিয়ে নেয়া তোমাদের জন্য জায়েজ নয় তাদের কাছ থেকে। কিন্তু যে ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই এ ব্যাপারে ভয় করে যে, তারা উভয়েই আল্লাহর নির্দেশ বজায় রাখতে পারবে না, তাহলে সেক্ষেত্রে স্ত্রী যদি বিনিময় দিয়ে অব্যাহতি নিয়ে নেয়, তবে উভয়ের মধ্যে কারোরই কোন পাপ নেই। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা। কাজেই একে অতিক্রম করো না। মূলত যারা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করবে, তারাই জালেম। (সুরা বাকারা ২৩০)
فَاتَّقُوا اللهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانِ اللهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللهِ، وَلَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ ذَلِكَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ،
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহ তাআলাকে ভয় কর। কেননা, তোমরা তাদেরকে গ্রহণ করেছো আল্লাহর জামানত এবং আল্লাহর নির্দেশে তাদের যৌনাঙ্গকে করেছো হালাল। তাদের প্রতি তোমাদের অধিকার হল, তোমরা যাকে অপছন্দ কর তারা যেন তোমাদের বিছানায় আসতে না দেয়, (তোমাদের সন্তুষ্টি ছাড়া কাউকে যেন তোমাদের গৃহে আসতে না দেয়। চাই সে পুরুষ হোক বা নারী)। যদি তারা এটা করে (অপছন্দের ব্যক্তিকে আসতে দেয়) তবে তাদের মৃদু প্রহার কর। আর তোমাদের উপর তাদের অধিকার, তোমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে তাদের অন্ন ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করবে। (মুসলিম ১২১৮)
স্ত্রী পরকীয়া করার মাধ্যমে মারাত্মক গোনাহগার হলেও এতে করে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় না। তাই বৈবাহিক সম্পর্ক বহাল থাকে। এক্ষেত্রে যেহেতু স্বামী বিশ্বাস করে না যে তার স্ত্রী পরকীয়ায় লিপ্ত তাহলে এতে করে আপনাদের কোন দায়িত্ব নেই। পরকীয়ার কথা জানার পর স্বামীর অধিকার থাকে, তাকে রাখা বা তালাক দিয়ে দেয়া।
যদি আপনাদের এখানে থেকে খারাপ কাজ চালিয়ে যায়, এতে করে আপনাদের মান সম্মান নষ্ট হয়, তাহলে তাকে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখা ও এক বাড়িতে থাকায় শরয়ি কোন বিধিনিষেধ নেই।
তবে তাকে তার ঘৃণ্য গোনাহ না করা এবং খাঁটি দিলে তওবা করার আন্তরিক আহ্বান ও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: إِنَّ امْرَأَتِي لَا تَمْنَعُ يَدَ لَامِسٍ قَالَ: «غَرِّبْهَا» قَالَ: أَخَافُ أَنْ تَتْبَعَهَا نَفْسِي، قَالَ: «فَاسْتَمْتِعْ بِهَا»
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে অভিযোগ করলো, আমার স্ত্রী কোনো স্পর্শকারীর হাতকে নিষেধ করে না। তিনি বললেন, তুমি তাকে ত্যাগ করো। সে বললো, আমার আশঙ্কা আমার মন তার পিছনে ছুটবে। তিনি বললেন, (যেহেতু ব্যভিচারের প্রমাণ নেই) তাহলে তুমি তার থেকে ফায়দা হাসিল করো। (সুনানে আবু দাউদ ২০৪৯, সুনানে নাসায়ী ৩২২৯)
শরিয়তের দৃষ্টিতে ওই মহিলার স্বামীই সন্তানের প্রকৃত পিতা বলে গণ্য হবে। তারই উত্তরসূরি হিসেবে মিরাছ পাবে। (আবু দাউদ ১/৩১০, রদ্দুল মুখতার ২/৫৫০, ফতাওয়া দারুল উলুম ১১/৫১১)
বিয়ে করবে প্রকাশ্যে। এটি বৈধ পন্থা। এখানে লুকোচুরির কিছুই নেই। বিয়ের ক্ষেত্রে ইসলামি শরিয়তে অভিভাবকের অভিমত গুরুত্বপূর্ণ। এক হাদিসে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আল্লাহর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না। (তিরমিজি ১১০১, আবু দাউদ ০৮৩)
ঘোষণা না দিয়ে, আপনজনকে না জানিয়ে গোপনে বিয়ে করা অসামাজিক, অমানবিক ও লজ্জাজনক কাজ। এজন্য বিয়ের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা পছন্দ করে না ইসলাম। ঘটা করে ঘোষণা দিয়ে বিয়ে করার কথা বলেছেন নবী সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধানের ক্ষেত্রে ইসলামের নির্দেশনা হলো, বিয়ে করবে ঘোষণা দিয়ে। (মুসনাদে আহমাদ ৪/৫)