শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

হুমকির মুখে মহেশখালী দ্বীপ


২২ ডিসেম্বর ২০২৩, ৪:৩৪ অপরাহ্ণ 

হুমকির মুখে মহেশখালী দ্বীপ

মহেশখালী দ্বীপ | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁসে অপরূপ সৌন্দর্য্যময় প্যারাবন বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে চলছে উপকূল রক্ষার জন্য সজ্জিত প্যারাবন দখলের প্রতিযোগীতা,মহেশখালীর  কুতুবজোম ইউয়িনের দুই পয়েন্টে বেড়িবাঁধের বাইরের বিস্তীর্ণ প্যারাবন কেটে তৈরি হচ্ছে বিশাল চিংড়ি ঘের।

রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে ভূমিদস্যুরা একাট্টা হয়ে থাবা বসিয়েছে প্যারাবনে। ঊর্ধ্বতন স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে ঘের নির্মাণ করা হচ্ছে এসব জায়গায়। বনবিভাগ বলছে, এটি বর্তমানে তাদের জায়গা না, বেজার অধিগ্রহণকৃত করে জমি । সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনে সক্রিয়।

স্থানীয় জাফর আলম আর মনিরের নেতৃত্বে ঘটিভাঙা ব্রিজ লাগায়ো খালের দক্ষিণে দিনরাত খননযন্ত্র স্কেভেটর লাগিয়ে শতশত একর সরকারি জমির বিভিন্ন প্রজাতির প্যারাবন উজাড় করে নির্মাণ করা হচ্ছে চিংড়ি ঘের। এতে ধ্বংস করা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য ও বিভিন্ন প্রজাতির জৈববৈচিত্র্যের আবাসন। এ স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি বেজার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান চালিয়ে বাঁধ কেটে দিলেও ফের দখলে নিয়ে প্যারাবন নিধন ঘের তৈরি করে যাচ্ছে ভূমিদস্যু এ চক্রটি।

সংগঠন বাপা'র মহেশখালী আঞ্চলিক শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে যারা উপকূলবাসীর রক্ষাকবচ প্যারাবন কেটে চিংড়ি ঘের নির্মাণে কোমর বেঁধে নেমেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আইয়ুব আলী জানান, ঘটিভাঙা ও সোনাদিয়া উপকূলীয় বনাঞ্চল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেজা) অধীনে। এখানে বনবিভাগের কিছু করার নেই। বেজা আগ্রাসন বন্ধে অভিযান পরিচালনা করলে বনবিভাগের পক্ষ থেকে আমি সহযোগিতা করব।