জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
২১ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:০৯ অপরাহ্ণ
মানুষ যখন রাতে ঘুমায়, তখনও মস্তিষ্ক কর্মক্ষম থাকে। তাই মানুষ স্বপ্ন দেখে। এসব স্বপ্নের ৯৫ শতাংশই ঘুম থেকে ওঠার অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই আমরা ভুলে যাই।
ঘুমের পুরো সময় জুড়ে কেউ স্বপ্ন দেখে না। শুধু ঘুমের মধ্যে রেম বা Rapid eye movement (REM) পর্বেই মানুষ স্বপ্ন দেখে থাকে। এই পর্বগুলো ছোট ছোট বা অল্প সময়ের হয়ে থাকে। এক পর্ব থেকে অন্য পর্বের পার্থক্য থাকে ৯০ মিনিট।
ঘুমিয়ে পড়ার পর প্রথমে রেমে (REM) আমরা স্বপ্ন দেখি। এরপর ৯০ মিনিটের বিরতি নিয়ে আবারও স্বপ্ন দেখি। এভাবে চক্রাকারে চলতে থাকে স্বপ্ন দেখা।
মানুষ সচরাচর ৫ থেকে ২০ মিনিট সময় ধরে স্বপ্ন দেখে। এই সময় আমাদের মাংসপেশিগুলো সম্পূর্ণ শিথিল হয়ে যায়। যার ফলে আমরা ইচ্ছামতো স্বপ্নকে পরিচালিত করতে পারি না। তবে কখনো কখনো এই চক্র ঠিকমতো কাজ করে না। তখন আমরা ইচ্ছামতো আচরণ করতে পারি।
স্বপ্ন দেখার সময় আমাদের মস্তিষ্কের সম্মুখভাগ তার কার্যকলাপ স্থগিত রাখে। আমরা যা স্বপ্নে দেখি তার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ দৃশ্যমান থাকে। আমরা যখন জেগে থাকি, তখন অনেক কিছু চিন্তা করি। আর যখন ঘুমায়, তখন স্বপ্নে সেসব চিন্তা ভাবনার প্রতিফলন ঘটে।
আমাদের অবচেতন মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে স্বপ্নে। অর্থাৎ বাস্তবে যে বিষয়গুলি চেপে রাখতে চাই, আমরা স্বপ্নে সেটাই দেখি। মাত্র এক-তৃতীয়াংশ স্বপ্নে আমরা রঙ দেখি। স্বপ্ন থেকে জেগে উঠলে কি রং দেখেছে জানতে চাইলে অনেকে বলেন, তারা হালকা প্যাস্টেল কালারের স্বপ্ন দেখেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে, যাদের বয়স ২৫ বছরের নিচে তারা অধিকাংশ সময় রঙিন স্বপ্ন দেখে। আর ৫৫ বছরের বেশি যারা, তারা সাদাকালো স্বপ্ন দেখেন।
স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মনের ভাবনা। অনেকেই ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখেন। অবচেতন মনের সঙ্গে দুঃস্বপ্ন সরাসরি সম্পৃক্ত। আমাদের সচেতন মন মাত্র ৫%। আমাদের মনোজগতে অবচেতন মনের ব্যাপ্তি বিশাল।
সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করুণ, কোন কোন অবচেতন বিষয় আপনার মনে চাপ তৈরি করছে? এই বিষয়গুলো সামাল দেওয়ার জন্য কী করবেন? নিজেকে হালকা করার জন্য কাউকে আপনার মনের কথা খুলে বলতে পারেন। এতে চাপমুক্ত হলে আপনি দুঃস্বপ্ন থেকে মুক্তি পাবেন।