রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারে হামলা-সংঘর্ষ আহত ২৪


২০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:২৮ পূর্বাহ্ণ 

নির্বাচনী প্রচারে হামলা-সংঘর্ষ আহত ২৪
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

তিন জেলায় নির্বাচনী প্রচারে হামলা-সংঘর্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) পৃথক সময়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী, ময়মনসিংহের নান্দাইল ও যশোরের বেনাপোলে এই হামলা-সংঘর্ষ হয়।

জামালপুর: জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সরিষাবাড়ী রেলস্টেশন এলাকায় ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রশীদের সমর্থক মিঠু মিয়ার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমানের সমর্থক লুত্ফর রহমানের কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়াধাওয়ি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় মিঠু মিয়া, ফারুক হোসেন, লুত্ফর রহমান ও বেলাল হোসেন নামের চারজন আহত হন।

এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান বলেন, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বেনাপোল (যশোর): যশোরের বেনাপোলে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটনের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছে। গতকালের এ হামলায় আহত হয়েছেন ১০ জন।

জানা যায়, সকালে কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের এক পর্যায়ে বন্দর এলাকায় হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) লিটনের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীরা লিটন, পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র মন্টু, শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবারসহ ১০ জনকে পিটিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে ভোটকেন্দ্রের সামনে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন নিয়ে বিরোধের জেরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই পক্ষের কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) নান্দাইল উপজেলার চপই বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম। অন্যদিকে ঈগল পাখি প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চপই বাজারের পাশে চপই দাখিল মাদরাসার মাঠের এক পাশে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প স্থাপন করার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। নৌকার সমর্থকরা তাতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আবদুল হাই ভূঁইয়া বলেন, আমরা আগে থেকে জায়গা বাছাই করে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নৌকার সমর্থকরা আমাদের বাধা দেন। তাঁদের অন্যত্র কার্যালয় করতে বললে পিকআপে লোকজন ও লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে হামলা চালান।

অন্যদিকে নৌকার সমর্থক ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমাদের বাছাই করা জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচার কার্যালয় স্থাপন করতে গেলে আমরা বাধা দিই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। একজন আমাকে ঘুষি মেরে ফেলে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, প্রথমবারের মতো দুই পক্ষকেই নিবৃত হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। ফের কোনো ঘটনা ঘটালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।