জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪২ অপরাহ্ণ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেণু কুমার দের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষকরা।
গতকাল সোমবার ( ১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আব্দুল হকসহ বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষক।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকার পরেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগসহ নানা অনিয়ম এবং স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, চবি উপাচার্য অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে রাতের আঁধারে অবৈধ নিয়োগ বোর্ড পরিচালনা করায় উপাচার্য পদে থাকার নৈতিক সমর্থন হারিয়েছেন। তিনি এই পদকে কলঙ্কিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রধান অন্তরায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য এবং প্রশাসন। তাদের পদত্যাগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে বলে আমরা শিক্ষক সমাজ বিশ্বাস করি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, বাংলা ও আইন বিভাগে শিক্ষক প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে স্বেচ্ছায় শিক্ষক নিয়োগের বোর্ড আয়োজন করছেন। নির্বাচনী বোর্ডের সদস্য নিজের পছন্দমতো কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে গোপনীয়তার সঙ্গে অজানা জায়গায় বোর্ড পরিচালনা করেন।
শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শফিউল আযম, লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী এস. এম. খসরুল আলম কুদ্দুসী, আইন বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান, জিন প্রকৌশল ও জীবপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. লায়লা খালেদা এবং ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. এনামুল হক।