জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
শনিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৪
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ৩:২৬ অপরাহ্ণ
“পকেটমার হইতে সাবধান” এমন লেখা হরহামেশাই চোখে পড়বে বাসের দরজায়। তবে তার মধ্য়েই কখন যে পকেট ফাঁকা করে দেয় বোঝাই যায় না। এতটাই দক্ষ তারা। তবে এবার পকেটমারদের নিয়ে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মালদা পুলিশের কাছে থেকে যে তথ্য় এসেছে তাতে চোখ কপালে না তুলে তো উপায় নেই।
জানা গেছে, সেখানে পকেটমারের জন্য মাস চুক্তিতে দেওয়া হয় বেতন। তাও অল্পস্বল্প নয়, দেওয়া হয় ২০-৮০ হাজার টাকা। আছে অন্য সুযোগ-সুবিধাও।
মালদার মানিকচকের গঙ্গার ওপারে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানার মহারাজপুর গ্রাম। সাদা পোশাকে সেই গ্রামে গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। মানিকচক থানায় পোস্টিং থাকার সময় তিনি এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বেতন পাওয়া পকেটমারদের কথা।
ঝাড়খণ্ডের এই মোটা বেতনের পকেটমারদের কথা জানতে পেরে অবাক হন মালদার ওই পুলিশ কর্মকর্তা। সেখানকার এক গাড়ি চালকের কাছ থেকে তিনি পুরো বিবরণ জানতে পারেন। সেখানেই জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডের ওই পকেটমার গ্যাংদের কথা।
সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০-৮০ হাজার টাকা বেতনের পকেটমার রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে। এমনকি নাবালকদের এই পেশায় বেশি চাহিদা। কারণ তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মায়া একটু বেশি থাকে। ধরা পড়ে গেলেও তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসতে পারে। এমনকি জনতা ধরে ফেললেও মারধর কম পড়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রাজ্যে যে মোবাইল চুরি হয় তা চলে যায় মহারাজপুরে। তারপর তা প্যাকেটে ভরে মালদা হয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে। যত ঝকঝকে মোবাইল তত তার চাহিদা।
জানা গেছে, গাড়ি-বাড়িও আছে পকেটমারদের। টার্গেট দিয়ে কাজ করানো হয়। বেতন নিয়ে কোনো টালবাহানার ব্যাপার নেই। ইনসেনটিভও আছে।