ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো'র ১০তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালি
রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২৫
৩ আগস্ট ২০২৩, ৪:৩৫ অপরাহ্ণ
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় করেছে ৮০ কোটি টাকা। যা পূর্বের অর্থবছর এর চাইতে প্রায় ১৩ কোটি টাকা বেশি। এবার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি ছাড়া সব খাতেই লাভ করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার প্রুফ লিটার মদ উৎপাদন করেছে কেরু। মদ বিক্রি করে আয় হয়েছে ৪৩৯ কোটি টাকা।
রাজস্ব জমা দেওয়ার পর দেখা যায় মদ বিক্রি থেকে ১৫২ কোটি টাকা নিট আয় দাঁড়িয়েছে। কেরু ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি করে ৪৩৯ কোটি টাকা আয় করেছে প্রায়। অন্যান্য পণ্যের রাজস্ব দেওয়ার পর কেরুর ৮০ কোটি টাকা নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে।
করোনাকালে দেশের বাজারে বেড়ে যায় মদের চাহিদা। কেরু অ্যান্ড কোম্পানি জোগান চালিয়ে যেতে উৎপাদনও বাড়িয়ে দেয়। এক বছরে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার প্রুফ লিটার মদ উৎপাদন করেছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। এতে ১৬ লাখ ৪২ হাজার গ্রুফ লিটার বিলেতি মদ এবং বাংলা মদ ৩২ লাখ ৮০ হাজার প্রুফ লিটার।
এবার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি রাজস্ব জমা দিয়েছে ১৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে মদ উৎপাদন হয়েছিল ৫৩ লাখ ৭৯ হাজার গ্রুফ লিটার। মদ বিক্রি হয় ৫৪ লাখ ৪৮ হাজার প্রুফ লিটার। যার বাজারমূল্য ৩৬৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। রাজস্ব জমা দেয় ১১৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
বর্তমানে মোট ৯টি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ উৎপাদন করে কেরু। সেগুলো হলো ইয়েলো লেবেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, চেরি ব্র্যান্ডি, ফাইন ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, জরিনা ভদকা, রোসা রাম, অরেঞ্জ কুরাকাও ও ওল্ড রাম। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানি চিনি উত্পাদন ছাড়াও রয়েছে ডিস্টিলারি, কৃষি খামার, পরীক্ষামূলক খামার ও জৈব সার।
চিনিখাতে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির লস হয়। গত অর্থবছরে মাত্র ৪২ দিন মিল চালু রেখে চিনি উৎপাদন করেছে কোম্পানিটি। ৪৬ হাজার ৯৩৭ মেট্রিক টন ৪২ দিনে আখ মাড়াই করা হয়। চিনি উৎপাদন হয় দুই হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন। চিনি আহরণের হার ছিল ৫.০৮ শতাংশ। আখ সংকট দেখা দেওয়ায় ৪২ দিন পর মিলটি চিনি উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। গত অর্থবছরে চিনি বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটি টাকার। চিনি খাতে লোকসান হয়েছে ৬৮ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানি র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, চিনি ছাড়া সব খাতেই লাভবান হয়েছে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি । লাভ-লোকসান সমন্বয় করে গত অর্থবছরে ৮০ কোটি লাভ হয়েছে।