উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী কুবি শিক্ষার্থীদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছেন মেরী
বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২৪
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৮ পূর্বাহ্ণ
গাজীপুরের জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কের ভাওয়াল রেলস্টেশনে ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১০ জন। এতে বন্ধ রয়েছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেল যোগাযোগ।
বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ১১তম দফায় ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেলসড়কের ভাওয়াল রেলস্টেশনের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর রেলের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী।
তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর চারটা থেকে সোয়া চারটার দিকে রাজেন্দ্রপুর স্টেশন ছেড়ে আসে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স’ ট্রেন। এর কিছুদূর যাওয়ার পরপরই বিকট শব্দে ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরমধ্যে দু’একটি বগি ধানক্ষেতে ছিটকে পড়ে। এতে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ লাইনে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুনেছি ছিলাই বিলের এখানে অবরোধ সমর্থকরা রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে এক ট্রেনের যাত্রী নিহত এবং আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডি এ ডি আরিফিন সিদ্দিক জানান, গাজীপুরের ভাওয়াল রেলস্টেশন এলাকায় ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ৭টি বগী লাইনচ্যুত হয়েছে। ট্রেন দুর্ঘটনার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫ জন।
নির্বাচন বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ১১তম দফায় ডাকা ৩৬ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) অবরোধের দ্বিতীয় দিন।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন ২৯ অক্টোবর হরতাল পালন করে বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর ৩১ অক্টোবর থেকে সারা দেশে তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শেষ হয় ২ নভেম্বর। হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশকিছু যাত্রীবাস ও পণ্যবাহী গাড়িতে ভাঙচুর চালায় ও আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এরপর থেকে নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এক-দুই দিন পরপর দলটি কখনো অবরোধ, কখনো হরতাল কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে।