ফরিদপুরে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে আলোচনা চলছে। কিন্তু পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সন্দেহের কারণে আসন সমঝোতা নিয়ে এগোতে পারছে না দল দুটি। দুই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সন্দেহের কারণ মূলত তিনটি। আসন নিয়ে জাপার অতিমাত্রায় দর-কষাকষি, অরাজনৈতিক মহলে দলটির নেতাদের দৌড়ঝাঁপ এবং দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রহস্যজনক ভূমিকা।
আর জাপার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা চান জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের আসনে বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা। তিন দফা আলোচনা করা হলেও আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তাঁরা সেই নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। আবার জাপার কোনো কোনো নেতা ব্যক্তিগতভাবে মনে করছেন, তাঁকে হয়তো জিতে আসতে দেওয়া হবে না। ফলে অবিশ্বাস গাঢ় হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এই সন্দেহ ও অবিশ্বাস থেকে জাতীয় পার্টি সংসদ নির্বাচনে থাকবে কি না, তা নিয়ে গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় সংশয় প্রকাশ করেছেন শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) যখন এমন খবর গণমাধ্যমে এসেছে তখন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হঠাৎ ঘটে যাওয়া এই দুটি ঘটনা ভোটের রাজনীতিতে নানা আলোচনা তৈরি করেছে।
আসন সমঝোতা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাপা গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গুলশানে আবার বৈঠক করেছে। বৈঠক শেষে দুই পক্ষই বলেছে, আলোচনা আরো চলবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুই দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা আবার বসতে পারেন। এর আগে দুই দলের মধ্যে আরও দুই দফা বৈঠক হয়েছিল।
আসন সমঝোতা নিয়ে দুই দলের আলোচনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রওশন এরশাদ জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের খণ্ডিত অংশের সঙ্গে জোট না করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান।
বৈঠকের পর জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীতে দলের নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও জাপার নির্বাচনে থাকা না থাকা নিয়ে সন্দেহের কথা জানান। অবশ্য তিনি এও বলেন, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনো জোট থাকবে না বা আমরা নির্বাচন করব না—এমন কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের দলে বা আমাদের নেত্রীও আমাদের কিছু বলেননি। কাজেই এ ব্যাপারে আমরা এখন শেষ কথা বলতে পারছি না।
তবে জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করুক বা না করুক, জাতীয় পার্টি ভোটে থাকবে। তিনি বলেন, নির্বাচন করতে ভোটে এসেছি, চলে যাওয়ার জন্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমার কিছু বলার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী সন্দেহ করেন কি না বা করবেন কি না তা উনার বিষয়। আমরা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের প্রশ্নে নেই।
দিন শেষে গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ দেখা গেছে। নির্বাচনে থাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংশয় প্রকাশ এবং তাঁর সঙ্গে রওশন এরশাদের বৈঠকের পর দলটির নীতিনির্ধারকরা এখন বেশ চাপ অনুভব করছেন। এত দিন আসন সমঝোতা নিয়ে দর-কষাকষি করলেও এখন দলের করণীয় কী হবে, সেই কৌশল খুঁজছে জাপা। গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির নেতারা বনানীতে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেন।
নিজেদের আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সরানো নিয়েই জাতীয় পার্টি এত দিন আওয়ামী লীগের ওপর চাপ তৈরি করে আসছিল। দুই দফা বৈঠকে জাপা আসন সমঝোতার জন্য একটি বড় তালিকাও দিয়েছিল। কিন্তু আসন নিয়ে দফারফার আগে এসে হঠাৎ দৃশ্যপটের পরিবর্তন এসেছে।
জাপার একাধিক নেতা বলেন, তাঁদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এক ধরনের সন্দেহ ও সংশয়ের কথা তাঁরাও জানতেন। কিন্তু আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনার মধ্যে এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসবে, তা তাঁদের অনুমেয় ছিল না। আবার বিষয়টি প্রকাশের দিনই গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বৈঠকও করলেন। পুরো ঘটনায় তাঁদের ওপর এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে।
দলটির একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কেন এবং কী কারণে দুটি বিষয় এক দিনে ঘটল, তা বোঝার চেষ্টা করছে জাপা। এ নিয়ে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক বিভিন্ন মাধ্যমে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা কথাও বলেছেন।
দলের নেতাদের বিশ্লেষণ হচ্ছে, জাতীয় পার্টি ভোট বর্জন করলে তা পুরো নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। কারণ আওয়ামী লীগের বাইরে নির্বাচনের মাঠে বড় রাজনৈতিক দল জাপা। এর বাইরে তৃণমূল বিএনপি, বিএনএমসহ যে কটি দল কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে তারা নির্বাচনী মাঠে সাড়া ফেলতে পারেনি। ফলে নির্বাচন দেশি-বিদেশিদের কাছে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করতে হলে জাপাকে নির্বাচনের মাঠে রাখতে হবে।
জাপা নেতাদের অনেকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে দেখছেন। রওশন এরশাদের আবার দৃশ্যপটে আসা শুধু তাঁর চাওয়ায় হয়েছে বলে মনে করেন না তাঁরা। দুটি ঘটনা জাপার কর্তৃত্বে নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত এবং দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের প্রতি সতর্কবার্তা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, নির্বাচনপ্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত জি এম কাদেরের প্রকাশ্যে না আসা এবং তাঁর গতিবিধি দেখে ক্ষমতাসীনদের মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। আসন সমঝোতার জন্য প্রথমে ৭৫ জন এবং পরে ৬০ জনের তালিকা নিয়ে দর-কষাকষির বিষয়টিতেও আওয়ামী লীগের শীর্ষ মহল বিস্মিত হয়েছে। দলের নেতারা বলছেন, ২০০৯ সাল থেকে আওয়ামী লীগ ও জাপা কখনো জোট আবার কখনো আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচন করে আসছে। ক্ষমতার অংশীদারও ছিল দলটি। আওয়ামী লীগের কাছে নানা সুবিধা পেয়ে আসা দলটি কিভাবে এত আসন দাবি করতে পারে? তাদের কি সেই সাংগঠনিক শক্তি আছে?
আসন সমঝোতার আলোচনায় নৌকার প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরানোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। ফলে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হওয়ার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না জি এম কাদেরসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। হেরে যাওয়ার শঙ্কা থেকেই তাঁদের মনে নানা ধরনের অবিশ্বাস তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন কোনো কোনো নেতা। প্রথমে জি এম কাদেরের মধ্যে অবিশ্বাস তৈরি হলেও আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠকের পর দলের অন্য শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও তাঁর সঙ্গে একমত হন।
গত ১৪ নভেম্বর রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির এক সভায় জি এম কাদের শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন যদি না হয়, (সরকার) সংলাপ যদি না করে, তাহলে নির্বাচনে গেলে আমাদের (জাতীয় পার্টির) ওপর স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আসতে পারে। তাদের (যুক্তরাষ্ট্র সরকার) কথায় বোঝা গেছে, তারা ব্যক্তিগত স্যাংশন দেবে। জাপার অন্য নেতারা মনে করেন, সন্দেহ-অবিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জি এম কাদেরের এই ভয়ও। যদিও এর কোনো বাস্তব ভিত্তি তাঁরা দেখছেন না।
এ অবস্থায় রওশন এরশাদের অনুসারীরা কী করবেন, তা নিয়ে নতুন করে আলোচনা হচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ বলেন, তাঁরা ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। এর মধ্যে অনেক কিছুই ঘটতে পারে।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদের অনুসারীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতে আসতে পারলে আওয়ামী লীগের জোটে ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে মনে করেন কোনো কোনো নেতা। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনার পর জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতা এমন আভাসও দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন বলেন, শেখ হাসিনা আলোচনায় রওশন এরশাদকে আশ্বস্ত করেছেন যে নির্বাচনের পর জোটের বিষয়ে পরিকল্পনা করবেন। তবে নিজ যোগ্যতায় তাঁদের ভোটে জিতে আসতে হবে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নিজেদের প্রার্থী প্রত্যাহার করে রওশনের অনুসারীদের ছাড় দেওয়ায় কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির নেতা মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আমরা ১৬-১৭ জনের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জিতে আসতে পারলে তিনি স্বাগত জানাবেন। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির আমরা যে কয়জন জিতে আসতে পারব তাদের আওয়ামী লীগের জোটের অংশ করা হতে পারে। এতে আমাদের মূল জাতীয় পার্টি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পথ খুলবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর রওশন এরশাদের একটি লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের দেন তাঁর অনুসারী নেতারা। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী আলোচনা করা হয়েছে, তা জানানো হয়। রওশন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেরিয়ে সাংবাদিকদের কয়েকটি প্রশ্নের জবাবও দেন।
জি এম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেননি। আমার ছেলের জায়গায় উনি ইলেকশন করছেন। ওর কথা তাঁর মনে নেই।
জাতীয় পার্টির নেতাদের প্রতি সমর্থন আছে কি না, জানতে চাইলে রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের ইচ্ছা করে বাদ দিয়েছে। কেন সমর্থন থাকবে?
বৈঠকে উপস্থিত জাপার সাবেক নেতা কাজী মামুনুর রশিদ রওশন এরশাদের লিখিত বক্তব্যের কথাটি জানান। এই বক্তব্যে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি (রওশন) বলেছেন জি এম কাদের অবৈধভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দখল করেছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সুকৌশলে তাঁকে, সাদ এরশাদকে এবং গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সরিয়ে দিয়েছেন। দলের মধ্যে ‘ক্যু’ করে নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন।
রওশন এরশাদ লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, তিনি এসব বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। জি এম কাদেরের সঙ্গে কোনো নির্বাচনী জোট না করার অনুরোধ করেছেন তিনি।
রওশন এরশাদ বলেন, নির্বাচন অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতীয় পার্টি যাতে এককভাবে সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলকভাবে নির্বাচন করে, সেটি নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছেন তিনি। ওই সাক্ষাতের সময় রওশন এরশাদের সঙ্গে আরও ছিলেন তাঁর ছেলে সাদ এরশাদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা।
গত রাতে তৃতীয় বৈঠকে জাতীয় পার্টির নেতারা আসন সমঝোতা নিয়ে দুটি তালিকা নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। বৈঠক সূত্র জানায়, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে জাপা ৪১ আসনে সমঝোতা চায়। আর শুধু নৌকার প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে ৬০ আসন চায় দলটি। আওয়ামী লীগ তাদের আসন সমঝোতার আশ্বাস দিলেও সংখ্যা ও কৌশল চূড়ান্ত করেনি।
বৈঠকে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম উপস্থিত ছিলেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সৌহার্দ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতামূলক হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং সবাই একমত হয়েছে। তিনি জানান, দু-এক দিনের মধ্যে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে সব কিছু জানানো হবে। আসন সমঝোতার বিষয়ে তিনি বলেন, এটা নিয় অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে।