জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
২৭ জুলাই ২০২৩, ৩:০৫ অপরাহ্ণ
শনিবার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে সাধারণ রোগীর মতো ১০ টাকার টিকিটে চোখের চিকিৎসা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী রোগী ও তাদের স্বজন, চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং ছবি তোলেন।
সে সময় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিতে আসে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা ছোট্ট এক শিশু। এগিয়ে যান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। পরম মমতার সাথে আদর করেন শিশুটিকে। তিনি ছোট্ট রাব্বির কাছে জানতে চান, সে কী করে?, কার সঙ্গে এই হাসপাতালে এসেছে? কোন ক্লাসে পড়ে?
১১ বছর বয়সী রাব্বি জানায়, সে হাসপাতালেরই ক্যান্টিনে কাজ করে। হাসপাতালেই থাকে। তার বাবা মারা গিয়েছে। তার মা রাবেয়া বেগম সুতার এক কারখানায় কাজ করত। এখন চাঁদপুরের রাম দাসদি আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে মা থাকে। রাব্বির সৎ বাবার নাম জাহাঙ্গীর আলম, তিনি পেশায় দিনমজুর। রাব্বি হাসপাতালের ক্যান্টিনে কাজ নেয়ার পূর্বে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিল।
ছোট্ট শিশু রাব্বির কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। মুহূর্তের সিদ্ধান্তেই রাব্বির পড়াশোনাসহ সকল প্রয়োজন মেটানোর জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি হাসপাতালে উপস্থিত রোগীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন, তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য দোয়া করেন এবং তাদের কাছে দোয়াও চান।