শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
মুখোমুখি দুই দল

এক দফার বিরুদ্ধে এক দফা


‘এক দফা, এক দাবি’ ঘোষণা করেছে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও ঘোষণা করছে এক দফা। গতকাল (১২ জুলাই) একই দিনে প্রায় দুই কিলোমিটারের মধ্যে দুই দলের সমাবেশ হয়। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করে। ভিন্ন সমাবেশ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজ নিজ দলের এক দফা ঘোষণা করেন।

১৩ জুলাই ২০২৩, ৩:২৯ অপরাহ্ণ 

এক দফার বিরুদ্ধে এক দফা
  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

‘এক দফা, এক দাবি’ কী? এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল জানান, বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী বর্তমানরকর্তৃত্ববাদী অবৈধ সরকারের পদত্যাগ; এটাই এক দফা, এক দাবি। বিএনপির পাশাপাশি গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, গণফোরাম, গণ অধিকার পরিষদ, এলডিপিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল জোটসহ যুগপৎভাবে এক দফার ঘোষণা করে।

অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের ঘোষিত এক দফা হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীন ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না। যেকোনো সময় মাঠে নামার জন্য নেতা–কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত খেলা হবে। মাঠ ছাড়বেন না। ডাক দিলেই চলে আসবেন।’ ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপি ভোটে এলে হেরে যাবে, সেই ভয় থেকেই তারা শেখ হাসিনাকে ‘ঘৃণা’ করে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল এক দফা দাবিতে ১৮ ও ১৯ জুলাই দুই দিনের ‘পদযাত্রা’ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। ১৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পদযাত্রা চলবে, রাজধানীর গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। একই দিনে কর্মসূচি থাকবে আনান্য জেলা ও মহানগরেও। ১৯ জুলাই সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে শুরু হবে পদযাত্রা, শেষ হবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক। এটাকে যুগপৎ ধারার প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।

আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের শুরুতেই চেয়ার ছোড়াছুড়িতে জড়িয়েছে দলের দুটি পক্ষ। দুপুর ২টার দিকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর সমর্থক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফির সমর্থকরা মারামারিতে জড়ান। এক সময় দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে একে অপরের ওপর চেয়ার ছুড়তে দেখা যায়।

মাত্র দুই দিন আগে আল্টিমেটাম দিয়ে গতকাল ঢাকায় বড় আকারের সমাবেশ করল বিএনপি। বেলা দুইটায় সমাবেশ শুরু হলেও সকাল থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে থাকেন। কয়েক দফা বৃষ্টিতে ভিজেও রাজপথে অবস্থান নেন তারা। দীর্ঘদিন পর বিএনপি এ সমাবেশের অনুমতি পায় এবং মাইকে প্রচারেরও সুযোগ পায় দলটি।

দুই দলের সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। সকাল থেকে দুই সমাবেশ স্থলের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশস্থল ছাড়াও বিভিন্ন অলিগলিতে তাদেরকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও বাড়তে থাকে।