ফরিদপুর জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ ও জনসংযোগ অনুষ্ঠিত
মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫
২ জানুয়ারী ২০২৪, ২:১৩ অপরাহ্ণ
২০৫০ সাল নাগাদ সাগরে মাছের তুলনায় পলিথিনের আধিক্য বেশি থাকবে। এমনটাই বলছে গবেষকরা। অনিয়ন্ত্রিত হারে বেড়েই চলেছে পলিথিনের ব্যবহার, মারাত্নক ঝুকিতে পরিবেশ।
আমাদের দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহৃত পলিথিন পুড়িয়ে আবার নতুন করে পলিথিন তৈরি করছে যা পরিবেশ ও মানব স্বাস্থ্যের বেশ ক্ষতি হচ্ছে। পলিথিন পোড়ালে পলি ভিনাইল ক্লোরাইড কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস উৎপন্ন হয়, যা আমাদের বায়ুমণ্ডল কে মারাত্মকভাবে দূষিত করে।
জানা গেছে, ঢাকা শহরের প্রতিটি পরিবার দৈনিক চারটি পলিথিন ব্যবহার করে এবং সেই হিসেবে ঢাকা শহরে প্রতিদিন ১ কোটি ৫০ লক্ষ পলিথিন এর ব্যবহার হচ্ছে। আর তা একবার ব্যবহারের পর ফেলে দেয়া হচ্ছে, রাস্তায় নালা-নর্দমায়, খালে-বিলে, অথবা নদীতে। যার ফলে শহরের সুয়ারেজ ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে । একটু বৃষ্টিতেই শহরজুড়ে যন্ত্রণাদায়ক জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। নদীগুলো ভরাট হয়ে তাদের স্বাভাবিক নাব্যতা হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
গবেষকরা আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে অনেক নদ-নদীতে মাছ পাওয়া যাবে না। পরিস্থিতি এমন হবে যে, নদীতে মাছের চেয়ে পলিথিনের সংখ্যার আধিক্য দেখা যাবে। পরিবেশ, জনজীবন, জলাধার, ভূমি, নদী, সমুদ্র ও প্রকৃতির জন্য হুমকিস্বরূপ পলিথিন নিষিদ্ধ হলেও এর উৎপাদন, বিপণন ও বিক্রি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট।
পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর বিধান অনুসারে দেশে ২০০২ সাল থেকে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন, বিপণন, পরিবহণ ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, দীর্ঘ ২১ বছর পরও তার কোন কার্যকারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। প্রশাসনের নাকের ডগায় পলিথিন এবং নিম্নমানের প্লাস্টিক পণ্য দেদারসে বিক্রি ও ব্যবহার করা হলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই। পলিথিনের বিকল্প পণ্য বাজারে থাকলেও সেগুলোর ব্যবহার অতি সামান্য। এসব বিকল্প পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ দৃশ্যমান নয়। তাই সহজলভ্য পলিথিনে বাজার এখন সয়লাব।
বর্তমানে শুধু ঢাকা শহরেই কয়েকশ প্লাস্টিকের ফ্যাক্টরি চলমান। তাই এই চলমান ফ্যাক্টরি গুলোতে পলিথিনের পরিবর্তে সোনালী আঁশ নামে খ্যাত পাট দ্বারা তৈরি ব্যাগের ব্যবহার বাড়ানো খুবই জরুরী।
লেখক: ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম