জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
৩০ আগস্ট ২০২৪, ৭:৫৭ অপরাহ্ণ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। গতকাল বিকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক হয়। এতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ অংশ নেন। এ সময় উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ও সংস্কারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে প্রধান উপদেষ্টাকে সংলাপের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি নেতারা। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্র জানিয়েছে, দলগুলোর সঙ্গে ইতিমধ্যে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু হয়েছে। শনিবারও কয়েকটি দলের সঙ্গে মতবিনিময়ের সূচি রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।
বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার-যার নেতৃত্বে ড. মুহাম্মদ ইউনূস রয়েছেন, তাদের আন্তরিকতা, দেশপ্রেম এবং যোগ্যতা দিয়ে খুব দ্রুত একটা স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে পারবেন।
একইসঙ্গে তারা একটা নির্বাচনের দিকেও যেতে পারবেন। প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো তারা পূরণ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আজকে আমাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা উনারাই বলবেন, কতোদিনের মধ্যে তারা নির্বাচন দিতে পারবেন।
অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কবে আলোচনা করবে- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পর্যায়ক্রমে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে।
বিএনপি’র পক্ষ থেকে নির্বাচনের জন্য সম্ভাব্য তারিখ দেয়া হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, আমরা কোনো তারিখ বলিনি। প্রয়োজনে উনারাই তো তারিখ বলবেন, আমরা তারিখ বলবো না।
ওদিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি প্রতিনিধিরা মূলত বর্তমান সরকারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার ভাবনা, নির্বাচন নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময় করেন। তারা বলেছেন যে, এই সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। ভবিষ্যতেও এই সমর্থন থাকবে। বর্তমান সরকারের পক্ষ থেকে যেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংস্কার এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ব্যাপক ভিত্তিক সংলাপ শুরুর ঘোষণা দেয়া হয়, সে ব্যাপারে তারা অনুরোধ করেন। তারা দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানতে চান এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যে শঙ্কা ও সম্ভাবনা আছে সে ব্যাপারেও তারা একমত পোষণ করেন। সবশেষে তারা এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে, বর্তমান সরকার সংস্কার এবং নির্বাচন সম্পর্কিত এবং অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যে পদক্ষেপগুলো নেবে সেটা নিয়ে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে এবং তারা সেটার একটি সমন্বিত অংশীদার হবেন।