
ফরিদপুরে ছাত্রদলের সভাপতি রাশেদ খানের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
১ আগস্ট ২০২৪, ৩:১৯ অপরাহ্ণ
মহাখালীর ডাটা সেন্টার পুড়ে যাওয়ায় টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মোবাইলন ইন্টারনেট চালু হলে অব্যবহৃত ডাটার বদলে ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা বোনাস দেওয়া হয়। তবে অধিকাংশ গ্রাহক তা ব্যাবহার করতে পারেননি বলে অভিযোগ গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, একটানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৯ জুলাই বিকেলে মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়।
যদিও রাত ৮টা পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ জেলাতেই ইন্টারনেট সচল হয়নি। আমরা দাবি জানিয়েছিলাম, মোবাইল ইন্টারনেট চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন গ্রাহক তার অব্যবহৃত ইন্টারনেট ডাটা সচল করতে পারেন। কিন্তু বিটিআরসি গ্রাহকদের সঙ্গে আলোচনা না করে প্রতিমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর এমন সিদ্ধান্ত দেয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রতিটি অপারেটর ৫ জিবি করে ইন্টারনেট ডাটা বোনাস দেবে।
তিনি আরো বলেন, মান্থলি প্যাকেজ (৩০ দিনের) ব্যবহারকারী ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ৫ জিবি ইন্টারনেট ডাটা দেওয়া হয়েছে। যদিও টেলিটক এখনও গ্রাহকদের বোনাস দেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে ইন্টারনেটে গতি ৫০ কেবিপিএসে নেমে আসে। সর্বোচ্চ গতি ছিল ৩ এমবিপিএস।
বিবৃতিতে বেশকিছু দাবি তোলা হয়। আগামী দুই দিনের মধ্যে এসব দাবি না মানলে আগামী রবিবার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বোনাস ইন্টারনেট না পাওয়া বা ধীরগতির ইন্টারনেটের বিষয়ে নাম প্রকাশ্য না করার শর্তে একটি মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, সরকারি সংস্থার নির্দেশনার পরপরই সব গ্রাহককে বোনাস ইন্টারনেট ব্যালেন্স দেওয়া হয়েছে। সব অপারেটরই বোনাস ইন্টারনেট দিয়েছে। হয়তো কারিগরি ত্রুটি কিংবা নেটওয়ার্ক দুর্বলতার কারণে বোনাস ইন্টারনেটের এসএমএস পাননি অনেকে। এসএমএস না পেলেও সবার ফোনে বোনাস ইন্টারনেট দেওয়া হয়েছে। বোনাস ইন্টারনেট কেন ব্যবহার করা যাচ্ছে না, তার নির্দিষ্ট কারণ বলা যাচ্ছে না।
টিএফ/এসএম/১/২