মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

বৃষ্টির দিনে কাউকে ইম্প্রেস করতে ব্যবহার করতে পারেন উর্দু শেরগুলো


‘আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ধান দেব মেপে’—বাংলার কবিরা বৃষ্টিতে নানাভাবে মহিমা দিয়েছেন। বৃষ্টির দিনকে মনে করেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছেন, ‘এমন দিনে তারে বলা যায়/ এমন ঘনঘোর বরিষায়।’ তবে শুধু বাংলা ভাষার কবিরাই নন, বৃষ্টি নিয়ে মাতোয়ারা হয়েছেন অন্য ভাষার কবিরাও। অন্য সব কবিদের মতো উর্দু কবিরাও বৃষ্টিকে দেখেছেন বিচিত্র রূপে। বৃষ্টির ঝর ঝর ছন্দ তাঁদের মনে করিয়েছে প্রেয়সীকে, তাঁদের ভেতরে জেগে উঠেছে প্রেম ও বিরহের ঝংকার।

১০ জুলাই ২০২৪, ৭:৫২ অপরাহ্ণ 

বৃষ্টির দিনে কাউকে ইম্প্রেস করতে ব্যবহার করতে পারেন উর্দু শেরগুলো

ছবি/সৈয়দ লতিফ হোসাইন |

  গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন

ও গো দয়ালু মেঘ, এত বর্ষণ কোরো না যেন সে আসতে না পারে
সে এসে পড়লে এমন বর্ষণ কোরো যেন সে ফিরে যেতে না পারে

মূল: এয় আবরে করম যারা থমকে ইতনা না বরস কে ও আ না সাকে
জাব ও আ জায়ে ত জম কে বরস ইতনা বরস কে ও ফির জা না সাকে
কবি: অজ্ঞাত

আমি সেই মরু যাকে জলের বাসনা ডুবিয়েছে
তুমি সেই মেঘ যে জানে না কী করে অঝোরে বর্ষণ করতে হয়

মূল: ম্যায় ও স্যাহরা জিসে পানি কি হাওস লে ডুবি
তু ও বাদল জো কাভি টুট কে বরসা হি নেহিঁ
কবি: সুলতান আখতার  

ওগো আমার দয়ালু মেঘ, দেখো আমার এই বিরাণ প্রাণ
তুমি কি কখনো কোনো মরুতে বৃষ্টি দাওনি?

মূল: এয় মেরে আবরে করম দেখ য়ে বিরানায়ে জাঁ
কেয়া কিসি দশত পে তু নে কাভি বারিশ নেহি কি
কবি: আহমদ ফারায

বর্ষার মেঘ তো পাগল, সে কি আর জানে
কোন পথে এড়িয়ে গিয়ে কোন ছাদ ভিজিয়ে দিতে হয়

মূল: বরসাত কি বাদল তো দিওয়ানা হ্যায় কেয়া জানে
কিস রাহ সে বাচনা হ্যায় কিস ছাত কো ভিগোনা হ্য
কবি: কাতিল শিফায়ি

বর্ষার দিনে তাকে সঙ্গে নিয়ে ফিরছ আনজুম
তুমি কি এই শহরে আগুন লাগাতে চাও না কি?

মূল: সাথ বারিশ মেঁ লিয়ে ফিরতে হো উস কো আনজুম
তুম নে ইস শ্যাহের মেঁ কেয়া আগা লাগানি হ্যায় কোয়ি
কবি: আনজুম সালিমি

প্রথম আলোর জন্য অনুবাদ করেছেন জাভেদ হুসেন।