জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮:০৯ অপরাহ্ণ
ছবি: সংগৃহীত |
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
ইসরায়েলের বিমান হামলায় গত শুক্রবার নিহত হন ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান নেতা হাসান নাসরুল্লাহ। এই বিমান হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েলকে নাসরুল্লাহের অবস্থান সম্পর্কে গোপন তথ্য জানিয়ে দেয় এক ইরানি গুপ্তচর। এরপরই তাকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এই খবর জানিয়েছে ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে প্যারিসিয়েন।
অভিযুক্ত ওই ইরানি গুপ্তচর ইসরায়েলকে জানায়, শুক্রবার বৈরুতে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সদর দপ্তরে উচ্চপদস্থ কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নাসরুল্লাহ। তিনি যখন মাটির নিচে অবস্থিত সদর দপ্তরে প্রবেশ করেন তার কিছুক্ষণ পরই বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ব্যবহার করা হয় বাঙ্কার বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। যা হিজবুল্লাহর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেয়। এতে নিহত হন হাসান নাসরুল্লাহ।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর ইসরায়েল লেবাননের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। গোপন তথ্য সংগ্রহের জন্য তারা বিভিন্নভাবে গুপ্তচর নিয়োগ করে। গোয়েন্দাদের নতুন দলটি তৈরি করা হয় সেনাবাহিনীর মধ্যে থেকে। যেন সেনা এবং বিমান বাহিনীর কাছে তারা সেগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে দিতে পারে।
পাশাপাশি ইসরায়েলি সিগন্যাল গোয়েন্দা এজেন্সি ইউনিট অনেক অত্যাধুনিক সাইবার টুলস তৈরি করে। যেগুলো দিয়ে খুব সহজেই হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ডিভাইসে আঁড়ি পাতা যায়। সম্প্রতি তারা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যেসব সাফল্য পেয়েছে সেগুলো এসব গোয়েন্দা কার্যক্রমের কল্যাণেই এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, হাসান নাসরুল্লাহকে হারানোর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে, গোষ্ঠীটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়ার সম্ভাবনার পাশাপাশি স্বল্প মেয়াদে এর রাজনৈতিক ও সামরিক কৌশলকে পরিবর্তন করবে।
তবে ইসরায়েল বিরোধী এই সংগঠনটি হুট থেকে যাবে না। কারণ তারা ইতোমধ্যেই লড়াই অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। দলটির এখনো হাজার হাজার যোদ্ধা আছে। এদের অনেকেরই সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে এবং তারা প্রতিশোধ নেওয়ার দাবি করেছে।
সংগঠনটির এখনো যথেষ্ট পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র আছে, যার অনেকগুলোই দূরপাল্লার। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলার মতো অস্ত্র আছে, যা তেল আবিব ও অন্য শহরগুলোতে পৌঁছাতে পারে।
এমএস/২৯/৩