গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আলজাজিরা আরবির সাংবাদিক ইসমাইল আল-ঘৌল ও ক্যামেরাম্যান রামি আল-রেফি নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, গাজা সিটির পশ্চিমে শাতি শরণার্থী শিবিরে আজ বুধবার তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে এ হামলা হয়। 

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্যটি জানা গেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তেহরানে স্থানীয় সময় বুধবার ভোরে নিহত হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়ার গাজার বাড়ির কাছাকাছি থেকে প্রতিবেদন করতে তারা ওই এলাকায় গিয়েছিলেন।

আলজাজিরার আনাস আল-শরিফ গাজা থেকে জানান, তার দুই সহকর্মীর মৃতদেহ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইসমাইল বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি ও আহতদের কষ্ট এবং গাজার নিরীহ জনগণের বিরুদ্ধে (ইসরায়েলের) দখলদারদের সংঘটিত গণহত্যার কথা জানাচ্ছিলেন তারা।

আলজাজিরা আরবির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ মোওয়াদ বলেছেন, হামলাটি তার কর্মীদের লক্ষ্য করেই চালানো হয়েছে।
কারণ তারা ‘সাহসের সঙ্গে উত্তর গাজার ঘটনাগুলো জানাচ্ছিলেন’। তিনি এক্সে লিখেছেন, ইসমাইল না থাকলে বিশ্ব এই গণহত্যার ধ্বংসাত্মক চিত্রগুলো দেখতে পেত না। নিরলসভাবে ঘটনাগুলো কভার করেছেন এবং আলজাজিরার মাধ্যমে গাজার বাস্তবতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরছিলেন।

আলজাজিরা বলেছে, ইসমাইল তার পেশাদারি  ও উৎসর্গের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। গাজায়, বিশেষ করে আল-শিফা হাসপাতাল ও উত্তরের আশপাশে সংঘটিত দুর্ভোগ ও নৃশংসতার প্রতি বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন এই সাংবাদিক।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই দুই সাংবাদিককে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ১৬৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আমরা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু ও হত্যার নিন্দা করি এবং এই জঘন্য অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছি।
 
এদিকে এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের কোনো তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তারা গাজায় গত অক্টোবর থেকে চালানো যুদ্ধে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি আগেই অস্বীকার করেছে।

এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩৯ হাজার জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হচ্ছে শিশু ও নারী।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এই দুই সাংবাদিককে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। সেই সঙ্গে ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ১৬৫ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে হত্যা করেছে উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, আমরা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু ও হত্যার নিন্দা করি এবং এই জঘন্য অপরাধের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করছি।

এসআর/এসএম/৩১/১৪