জাজিরা থানার ওসি আল আমিনের রহস্যজনক মৃত্যু: মরদেহ ঝুলছিল শয়নকক্ষের জানালার সঙ্গে
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
১৫ জুলাই ২০২৪, ৭:০০ অপরাহ্ণ
ছবি/ সংগৃহীত |
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
১৮ থেকে ৬৪ বছর বয়স্ক সুস্থ ও শারীরিকভাবে ফিট মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট মাঝারি গতিতে বা ৭৫ মিনিট জোর গতিতে অ্যারোবিক ব্যায়াম করা দরকার। অ্যারোবিক ব্যায়ামের মধ্যে রয়েছে হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো, স্কিপিং, সাঁতার কাটা ইত্যাদি। সপ্তাহে ২-৩ দিন করতে হবে পেশিশক্তি বাড়ানোর ব্যায়াম। পার্কে বা রাস্তায় যেতে না পারলে ট্রেডমিল বা ছাদে হাঁটুন, স্পট জগিং করুন, স্পট স্কিপিং করুন বা স্ট্যাটিক সাইকেল চালান।
যদি জীবনযাত্রার মান ঠিক রাখা যায় বা রোজ ব্যায়াম করা যায়, খাওয়া-দাওয়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে কিন্তু শরীর খারাপ হতে পারে। তা থেকে মুক্তি পেতে প্রত্যেক দিন একটু একটু করে ব্যায়াম করা প্রয়োজন।
কারণ নিয়মিত ব্যায়াম না করলে হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়তে পারে। এমন কিছু লক্ষণ যদি আপনার শরীরে দেখেন, তাহলে আপনি দ্রুত ব্যায়াম শুরু করুন। তবেই কিন্তু আপনি সুস্থ থাকবেন। কোন লক্ষণগুলো দেখলে আপনি বুঝবেন আপনার নিয়মিত ব্যায়ামের প্রয়োজন, তা জেনে নিন।
যদি আপনার পিঠ, পা ও কোমরে খুব যন্ত্রণা শুরু হয়, শরীর দুর্বল লাগে, সবসময় বমি বমি লাগে, তাহলে দেরি না করে দ্রুত ব্যায়াম শুরু করুন। যদি আপনি সকালে সময় না পান, বিকালে করুন কিংবা সন্ধ্যাবেলাতেও ব্যায়াম করতে পারেন। এতে আপনার শরীর ভালো থাকবে, মনও ভালো থাকবে। সেই সঙ্গে পিঠ, কোমর ও পায়ের ব্যথা দ্রুত আরোগ্য লাভ হবে।
যদি দেখেন আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা শরীরে বাড়ছে। আপনার হার্টের সমস্যা হচ্ছে। তাহলে দেরি না করে এখনই ব্যায়াম শুরু করুন। কারণ ব্যায়াম করলে আপনার হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। এমনকি শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। সেই সঙ্গে তেল, মসলাজাতীয় খাবারও এড়িয়ে চলবেন না।
হাঁটু-কোমর-গোড়ালির অবস্থা দেখে নেবেন। হৃদ্যন্ত্র-ফুসফুসের কার্যক্ষমতা কম থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অ্যারোবিক ব্যায়াম করুন। তবে হাঁটা বা জগিংয়ের আগে ভালো মানের হাঁটার জুতো পরে নেবেন। না হলে পায়ে ব্যথা হতে পারে। ইদানীং কয়েকটি নতুন ধরনের ব্যায়ামের ধারা চালু হয়েছে। এসবে সুরের তালে তালে অ্যারোবিকের সঙ্গে স্ট্রেচিং, ব্যালেন্সিং, স্ট্রেংথ ট্রেনিং—সব করা যায়।
মানসিক চাপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যোগব্যায়াম করলে মানসিক চাপ কমে এবং মন ভালো থাকে, শান্ত থাকে। তাই আগে থেকেই নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। আর মানসিক চাপ যখন আপনাকে ঘিরে ধরবে, তখন সেখান থেকে বের হতে পারবেন না। যখন আপনি দেখেন কাজের চাপ ও পারিবারিক চাপের কারণে আপনার মানসিক চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে, তাহলে সেই সময় আপনি নিত্যদিন ব্যায়াম করতে পারেন।
টিএনএ/এসআর/১৫/৭