
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য সুখবর
৫ মে ২০২৫, ৭:৩৭ অপরাহ্ণ
গত শনিবার রাত পৌনে দশটার দিকে শহরের সাতমাথা থেকে সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ ফকিরকে বগুড়ার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তুলে নে্ওয়ার ২৪ ঘন্টা পর তাকে আটক দেখানো হয়।
গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) দুপুর ১ টায় বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বৈষম্য বিরোধী গনমাধ্যম আন্দোলন বগুড়া এর ব্যানারে সাংবাদিকেরা মানববন্ধন করে। বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক প্রতীক ওমর এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু, বিএফইউজের সাবেক সহকারী মহাসচিব মহসিন আলী রাজু, মীর সাজ্জাদ আলী সন্তোষ, বাংলাদেশ সাংবাদিক সংসদ (বাসাস) এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এফ শাহজাহান, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফজলে রাব্বী ডলার, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা, জাসাস এর সভাপতি মমিনুর রশীদ সাইন, বগুড়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার কার্যনির্বাহী সদস্য মাহফুজ মণ্ডল, সিনিয়র সাংবাদিক ইনছান আলী, রেজাউল হক বাবু, বৈষম্যবিরোধী গণমাধ্যম আন্দোলনের সমন্বয়ক তানভীর আলম রিমন প্রমুখ।
কর্মসূচী থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াহেদ ফকিরের নিঃশর্ত মুক্তি ও বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিনকে প্রত্যাহারের দাবী জানানো হয়।
এর আগে গত শনিবার শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে তাঁকে আটক করা হয়। সদর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাঁকে শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা থেকে আটক করে প্রথমে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়, পরে সেখান থেকে নেয়া হয় বগুড়া সদর থানায়। রাতভর তাকে থানা হাজতেই আটক রাখা হয়। পরদিন রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা বাদী হওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। পরে শাজাহানপুর উপজেলার খরনা কর্মকারপাড়ার পলাশ কুমার মহন্ত নামের সাধারণ এক হিন্দু ব্যক্তিকে দিয়ে রোববার রাতে মামলা করানো হয়।
সাংবাদিক ওয়াহেদ ফকির তার ফেসবুকে বিখ্যাত বাউল গানের একটি কলি লেখে স্ট্যাটাস দেন। বাউলগানের কলি লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া এবং গ্রেপ্তার করাকে মূর্খতার সঙ্গে তুলনা করেছেন বগুড়ার বিশিষ্টজনরা। সাংবাদিক আব্দুল ওয়াহেদ ফকির বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কিছু লিখিনি। যা লিখেছি সেটি একটি বাউল গান। আমি ব্যক্তিগত রোষানলের শিকার হয়েছি। এক মহল আমার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দিন ধরে পিছু লেগেছে। তাদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি আমি।