৭৪ বছরে পা রাখলো মোংলা বন্দর
মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
২৮ নভেম্বর ২০২৪, ৬:০৭ অপরাহ্ণ
সাধারণ মানুষ যখন পেঁয়াজের দামে দিশেহারা, তখন কৃষকদের পেঁয়াজ চাষেও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত খরচ। প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে কৃষকদের গুনতে হচ্ছে প্রায় লক্ষাধিক টাকা। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধগতির প্রভাব যেনো বাজার ছাড়িয়ে পৌঁছে গেছে কৃষকের মাঠেও।
চলতি মৌসুমে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় ব্যপক আকারে হয়েছে কন্দ পেঁয়াজের চাষ। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার পেঁয়াজ চাষে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। পেঁয়াজ বীজ (গুটি পেয়াজ), শ্রমিক, সার সহ উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষের খরচ প্রায় দ্বিগুণে পৌছেছে। এত সকল খরচের মাঝেও লাভ করতে পারবে কিনা সে দুশ্চিন্তায় রয়েছে কৃষকরা।
তবে পেঁয়াজ চাষে খরচ বাড়লেও বসে নেই চাষীরা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে গালা, চালা, বাল্লা, গোপীনাথপুর সহ উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নেই পুরোদমে চলছে পেঁয়াজের চাষাবাদ। সেই সাথে হালি পেঁয়াজের বীজতলা পরিচর্যার কাজেও ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
গালা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কৃষক সুকুমার মন্ডল জানান, এবছর পেঁয়াজ চাষে খরচ অনেক বেড়ে গেছে। গতবছর প্রতি পাখি (বিঘা) জমিতে পেঁয়াজ চাষে খরচ হয়েছিল ৬০ থেকে ৭০ হাজার, কিন্তু এবছর খরচ ১ লক্ষ টাকারও বেশি হবে। এত টাকা খরচ করে পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যায়।
একই ইউনিয়নের সাখিনী গ্রামের কৃষক মনির হোসেন বলেন, আমি এবছর ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আমার প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার মতো খরচ হবে। ফসল তুলতে তুলতে যদি পেঁয়াজের দাম পড়ে যায় তাহলে লস হবে। আর যদি ৪ হাজার টাকার উপরে পেঁয়াজের বাজার থাকে তাহলে কিছুটা লাভ হতে পারে।
গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কৃষক মুজাহার মিয়া জানান, এবছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে কন্দ পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তবে অন্যান্য বছরের তুলানয় এবছর খরচ অনেক বেশি হয়েছে। এবার গুটি পেঁয়াজই কিনতে হয়েছে তার ১৬ হাজার টাকা মন দরে। সব খরচ মিলয়ে প্রতি বিঘায় খরচ লাখ টাকার উপরে। ফলন যদি ভালো না হয় ও পেয়াজের বাজার ৪ হাজার টাকা মনের নিচে নেমে গেলে নিশ্চিত লস হবে জানান তিনি।
এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি হলেও কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। যে কারণে পেঁয়াজ চাষিদের লোকসানের সম্ভাবনা কম। এ বছর পেঁয়াজের ফলন গত বছরের তুলনায় ভালো হবে বলে আশা করছি।