জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ গুণী শিক্ষক নির্বাচিত হলেন সুলতানা রাজিয়া
রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪
১৯ মার্চ ২০২৪, ৭:২৯ অপরাহ্ণ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন উপজেলায় তরমুজের আগাম ফলন | ছবি: আজকের প্রসঙ্গ
গুগল নিউজে ফলো করে আজকের প্রসঙ্গ এর সাথে থাকুন |
পটুয়াখালীর কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন উপজেলায় তরমুজের আগাম ফলন এবার বেশ ভালো। রোজার চাহিদাকে মাথায় রেখে চাষীরা এই তরমুজ ফলিয়েছেন।
দেশের দক্ষিণের উপজেলা কলাপাড়াতে ছয় থেকে দশ কেজির একটি তরমুজে চাষী দাম পাচ্ছেন সর্বোচ্চ আড়াইশ থেকে ২৭০ টাকা। তিন থেকে পাঁচ কেজির তরমুজে পাচ্ছেন দেড়শ' টাকা।
ক্ষেত থেকে চাষীরা তরমুজ বিক্রি করছেন পিস হিসেবে সেই তরমুজ সাধারণ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে কেজি হিসেবে।অনেক সময় সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে তরমুজের দাম।
দু-তিন হাত ঘুরে বাজার পর্যন্ত আসতে এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে আরও ৫থেকে সাড়ে ৫শ টাকা।যার খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটার খাজুরা গ্রামের কৃষক মোঃ রাসেল জানান, এবার প্রায় ১৮ একর (১ একর = ১০০ শতক) জমিতে তরমুজের চাষ করেছেন ১৮ একর জায়গায় তাদের তরমুজ চাষে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়েছে।এখন অবধি প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পেরেছেন তারা।
তিনি আরও বলেন,আমরা কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করিনা।৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের তরমুজগুলি আমরা প্রতি ১০০ পিস ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি।সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় একদম বড় সাইজের তরমুজগুলি বিক্রি করি আমরা।
সারাদেশে পটুয়াখালীর উৎপাদিত তরমুজের বেশ সুনাম রয়েছে। এ বছর জেলার কলাপাড়া উপজেলায় মোট ১৩২৩ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।প্রায় সবগুলি ক্ষেতের তরমুজই পিস হিসেবে অথবা ক্ষেত অনুযায়ী বিক্রি হয়েছে।
দুই চোখ যেদিকে যায়, সেদিকে শুধু তরমুজ আর তরমুজ। মাঠের পর মাঠজুড়ে তরমুজখেত। খেত থেকে তরমুজ তুলে স্তুপ আকারে জড়ো করছেন কৃষক। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা এসে খেত থেকেই ভালো দাম দিয়ে তরমুজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেই তরমুজ ট্রাক,কাভার্ড ভ্যান,ট্রলার,ও লঞ্চ করে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। তরমুজ ঘিরে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।
রবি মৌসুমে তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে। প্রতিবছরই বাড়ছে তরমুজ চাষ। এবার ফলন কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে বিক্রি করছেন।
কৃষক মনির হোসেন বলেন,এবছর ২৫ একর জমিতে তরমুজের চাষ করিছি।আমি পিস হিসেবে সম্পূর্ণ ক্ষেত বিক্রি করে দিয়েছি।প্রায় ৩০ লাখ টাকার মতো খরচ করে সম্পূর্ণ ক্ষেত বিক্রি করেছি ৩৩ লক্ষ টাকায়।
রিপন নামের এক কৃষক বলেন,আমরা ক্ষেত থেকে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি করি শহরে গিয়ে কিভাবে সেটা কেজি হিসেব হয়ে যায় আমরা জানিনা। আমরা কৃষকরা গরিব আছি গরিবই থেকে যাবো।
তরমুজের পাইকার সজীব মিয়া বলেন,তারাও মোকামে নিয়ে পিস হিসেবেই বিক্রি করেন তরমুজ।কি কারনে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করাহয় সে তথ্য জানা নেই।তিনি আরও বলেন, মৌসুমের শুরুতে তরমুজের দাম বেশি ছিলো এবং তারা তরমুজ কিনে অল্প কিছু লাভ করতে পেরেছেন।বর্তমানে সারাদেশের তরমুজ বাজারে আসতে শুরু করেছে যার কারনে তরমুজের দামও একটু কমেছে এবং সামনে আরও দাম কমবে।
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপযুক্ত আবহাওয়া ও বালু মিশ্রিত মাটি হওয়ায় উপজেলার লালুয়া,কুয়াকাটা, মিঠাগঞ্জ,বালিয়াতলী,চম্পাপুর, ও নীলগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৪২,৪০০ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদিত হয়েছে।
কেজিতে নাকি পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন,"ক্ষেত থেকে কৃষকরা পিস হিসেবেই তরমুজ বিক্রি করছেন, তবে বাজারে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে এখানে আসলে আমাদের কিছু করার নেই, আমাদের কাছে আইনি ক্ষমতা নেই।