
৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা
৩ নভেম্বর ২০২৩, ৪:২৯ অপরাহ্ণ
ডিম পাহাড় বাংলাদেশের বান্দরবান জেলায় অবস্থিত। পাহাড়টি আলীকদম এবং থানচি উপজেলার ঠিক মাঝখানে অবস্থিত। এই পাহাড় দিয়েই দুই থানার সীমানা নির্ধারিত হয়েছে। এই পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সমুদ্র সমতল থেকে আড়াই হাজার ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। আড়াই হাজার ফুট উঁচু এ পাহাড় চূড়ার আকৃতি দেখতে ডিমের মতো হওয়ায় স্থানীয়রা একে 'ডিম পাহাড়' নাম দিয়েছে।
ডিম পাহাড়ের বর্ণনা:
ডিম পাহাড় ছিলো দুর্গম। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ টানা এক যুগ অকান্ত পরিশ্রম করে সড়কটি নির্মাণ করেছে। প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়কটি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। প্রথমে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু করলেও পরে এটি সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ ১৬ ইসিবি ও ১৭ ইসিবি কাজ সম্পন্ন করে। আলিকদম-থানচি আঞ্চলিক সড়ক বাংলাদেশের সবথেকে উঁচু রাস্তা। ডিম পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ২৫০০ ফুট। এই পাহাড়ে যেতে হয় দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক দিয়েই। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের সবচেয়ে উঁচু সড়কপথ। পাহাড়টি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সড়কপথ।
তবে ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়ক পথ জুড়েই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। অন্যদিকে ডিম পাহাড় এলাকায় দাঁড়িয়ে ছোঁয়া যায় আকাশের সাদা মেঘ। রকমারি ফুল-ফলে আচ্ছাদিত সবুজ গাছগাছালিতে ভরপুর এই সড়কপথ। পিচঢালা আঁকাবাঁকা পথে যেতে যেতে এসব দৃশ্য দেখতে দেখতে চোখ দুটো জুড়িয়ে যায়।
পুরো সড়কপথের সঙ্গে যোগ হয়েছে সবুজপাহাড় আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছোট ছোট পাড়া। গ্রামগুলোতে মানুষের জীবনধারা ও পথচলা বৈচিত্র্যময়। তবে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি ইস্যু। তাই ভ্রমণের আগে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
যেভাবে যাবেন:
দেশের যেকোনো স্থান থেকে প্রথমে যেতে হবে চট্রগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের চকরিয়া বাস টার্মিনালে। ঢাকা থেকে নন এসি বাসে করে যেতে পারেন। এ ছাড়াও ট্রেনে চট্রগ্রাম গিয়ে বাসে চকরিয়া যেতে পারেন। চকরিয়া বাস টার্মিনাল থেকে বাস কিংবা চাঁদের গাড়িতে চড়ে যেতে হবে আলীকদমে।
আবার ঢাকা থেকে সরাসরি সড়ক পথে বান্দরবান চলে আসতে পারেন। সেখান থেকে লোকাল বাসে কিংবা চাঁদের গাড়িতে করে থানচি বাজার যাওয়া যাবে। এরপর এখান থেকে চাঁদের গাড়ি কিংবা মোটরসাইকেলে করে যেতে পারবেন ডিম পাহাড়ে।
থাকার ব্যবস্থ্যা:
আলিকদমে থাকার তেমন ভালো ব্যবস্থা নেই। রাত্রিযাপনের জন্য চট্টগ্রামে ফিরে যেতে হবে। সেখানে থাকার জন্য ছোট-বড় বিভিন্ন মানের হোটেল পেয়ে যাবেন।